চলতি বছরে চালু হচ্ছে না যমুনা রেলসেতু, উদ্বোধন হতে পারে জানুয়ারিতে
আপডেটঃ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ২৩, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী:
দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর মূল অবকাঠামোর কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হলেও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ বাকি থাকায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুটি উদ্বোধন সম্ভব হচ্ছে না।সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাকি থাকা কাজগুলো
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, সেতুর মূল কাঠামো শতভাগ শেষ হলেও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পূর্ব প্রান্ত এবং সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে নতুন রেলস্টেশনগুলোর কিছু কাজ এখনও চলমান।স্টেশন দুটিতে ঘষামাজা ও রঙ করার কাজ চলছে।
রেলসেতুর সুবিধা
সেতুটি চালু হলে বিরতিহীনভাবে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।এতে যমুনা নদী পার হতে সময় কমবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। নতুন এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে দ্রুতগতির ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।তবে প্রথম বছর সাধারণত ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে।
সেতু প্রকল্পের বিবরণ
- প্রকল্পের ব্যয়: ১৬,৭৮০.৯৬ কোটি টাকা।
- অর্থায়ন: জাইকার ঋণ সহায়তা ১২,১৪৯ কোটি টাকা (৭২.৪০%) এবং দেশীয় অর্থায়ন ২৭.৬০%।
- সেতুর দৈর্ঘ্য: ৪.৮০ কিলোমিটার।
- সংযোজন: ডুয়েলগেজ রেললাইন, গ্যাস সঞ্চালন লাইন এবং রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট।
পেছনের গল্প
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালুর পর থেকেই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়।তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে ২০ কিলোমিটার করা হয়।সেতুতে এই চাপ কমাতে এবং আধুনিক যোগাযোগ স্থাপন করতে যমুনা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে পাইলিং কাজ শুরু হয়।নতুন রেলসেতু চালু হলে দেশের রেল যোগাযোগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
IPCS News : Dhaka