শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

সুকৌশলে জামাত একক সরকার গঠন করতে যাচ্ছে

আপডেটঃ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

দেশ দ্বীত্বয় স্বাধিন হয়েছে।হায়েনার আঁচড়ে, ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত দেশটিকে মলম লাগিয়ে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছন ছাত্র উপদেষটারা আরে তাদের গার্ড লাইনে আছেন ড. ইউনুস।তারা কি পারছেন বা পারবেন দেশটাকে ঢেলে সাজাতে, এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষের মনে।আমজনতা বলছে, ইউনুস সরকারের দেশ গড়ার দায়ীত্ব নেয়া মাসাধিক সময় চলে গেলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।বরং দেশে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে আরজকতা আর সহিংসতা।উপদেস্টা নাহিদ সাফ জানিয়েছন সহিংসতা আর দখল বাজির ফল বালো হবেনা।দেশ জুড়ে চলছে মোসজিদ দখন, ওলি আওলিয়াদের মাজার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার মহা উৎসব।এছাড়া স্থাপনা দখল, চাঁদাবাজি আর রক্তের হোলি খেলা।

মানুষের জীবন যেন পিপিলিকার মত,মন চাইলেই যে কাউ।লনির্যাতন, পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, এমন কি মেরফেলা পুতুল খেলার মত ? চলছে ইচ্ছামত পদত্যাগে বাধ্য করানোর হিড়িক, শিক্ষকে মানষিক ও শাররিক নির্যাতন, জুতা পেটা, জুতার মালা গলায় দেয়া, চড়থাপ্পর দিয়ে পদত্যাগে বাধ্যকরা।

★১১ সেপ্টম্বর পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মার্কেট দখলের চেষ্টা।ব্যাপক ভাঙচুর।৪০ ব্যবসায়ী আহত।পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।★পানি খাবো ভাই, আমারে একটু পানি দিন-রাজশাহীর  মাসুদ।পঙ্গু মানুষটার শেষ চাওয়া ছিলো একটু পানি ! ★সমন্বয়কদের মধ্যে মতানৈক্য:-সমন্বয়কেরা বৈসম্য বিরোধী আন্দোলন করলেও তারা হাটছে উল্টোপথে।

এর ফলে তারা পথে ঘাটে লাঞ্ছিত হচ্ছে নিজেরাই নিজেদের কাছে।এ ছাড়া বৈসম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছে এতদিনে বুঝেগেছে, এ আন্দোলন ছিলো জামাত-বিএনপির টোপ মাত্র।তারাও নির্যাতনের ও হামলার শিকার হচ্ছে তাদের হাতে।তবে, এগুলো যারাই করুক  তার দায় পড়ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে( বিএনপি) উপর।কারন এটা প্রচার হচ্ছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধরিমাছ না ছুঁই পানি কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে।কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের রাজনৈতিক কৌশল বাস্তবায়ন, জনগনের আস্থা অর্জনে লোক দেখানোয় নিরব থেকে বিএনপিকে সুকৈশলে বিতর্কিত করার সকল ফাঁদ বিছিয়েছে।যদি তাদের স্বরুপ অজান্তেই প্রকাশিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্থাপিত সকল মুরাল গুড়িয়ে দেয়াসহ অবমাননা করলেও ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পাকিস্তানে জাতির পিতার কায়দে আযম জিন্নার জন্মদিন পালন করেছন।জনমনে প্রশ্ন এরা কারা? তবে কি দেশটা পাকিস্তানের অংগরাজ্য বাস্তবায়নের দ্বীত্বয় পদক্ষেপ এটা।

৫ আগস্ট খূনি বা সৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলন থেকেই আন্দোলন কারিরা নিজেদের স্বগর্বে রাজাকার পরিচয়ে শ্লোগান, ২য় সাধিনের পর পরই সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রসঙ্গ,জাতীয় সংগীত পরিবর্তনসহ নানা ইসুতে জামাতকে এদেশের মানুষ পাকিস্তানের এজেন্ট মনে করছে।তারা কি দেশটাকে পুনরায় পাকিস্তান রাস্ট্র বানাতে চায় ? এপ্রশ্নটে এখন সবার।

বৈসম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রকাশ্যে সক্রিয় ভুমিকা পালন কারি মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব জওয়াদ নির্জর তার নিজস্ব ফেসবুকে লিখেছন, তা হুবহু ★★১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের তখনকার গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এবং ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ভাষণ দেন তিনি।

তিনি উর্দুকেই রাষ্ট্রীয় ভাষা করতে চেয়েছিলেন!! পূর্ব পাকিস্তান মানে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হোক, সেটা কখনোই চায়নি জিন্নাহ।সেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবে!! অথচ পাকিস্তানের জাতীয় প্রেসক্লাবে জিন্নাহকে নিয়ে কোন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়নি!দেশটা হাসিনা মুক্ত হলেও নতুন জালিমদের খপ্পরে পড়েছে! তারাও এখন দেশটাকে তার বাপের পয়দা করা দেশ ভাবতে শুরু করেছে।

★★ অন্যদিকে জামাতের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতি মহুর্ত বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে বিএনপি।অপ্রীতিকর ঘটনা জামাত ঘটালেও নিজেদের শক্তিশালী জানান দিতে  সে কাজটি তারাই করছে বলে নিজেরাই প্রচার করছে।এতে করে ক্রমাগত জনসমর্থন হারাচ্ছে বিএনপি।অন্যদিকে ১৫ বছরের ক্ষুধার্থ দলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা জামাত নীতির উল্টোপথে হাটছে।

তার ব্যাস্ত প্রতিশোধ ও আখের গোছাতে।প্রতিশোধের নেশায় বাসাবাড়ী-স্থাপনা দখল,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান লুণ্ঠন,অগ্ণীসংযোগ,পিটিয়ে প্রতিপক্ষকে হত্যাসহ অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে তারা।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এদের কাছে জিম্মি প্রায়।

দেশে এত কিছু ঘটে চললেও পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকায় কেন? বিষয়টি নিয়ে কে কি ভাবছে ! সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যে একাধিক পোস্টের মন্তব্য এমন, একজন উপদেস্টা অস্পস্ট করে বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ছাত্রদের হাতে ছিলোনা।তবে কারা ছিলো এই আন্দোলনে বিষয়টি তিনি স্পস্টও করেননি।

তবে স্থানীয় জামাত ও শিবির কর্মীরা বলছেন, ১৫ বছরে বিএনপি হাসিনা সরকারের বা–ছি–পারেনি।আমারা আন্দোলন করে হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করছি।তবে কি ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।অনেকেই মন্তব্য করছেন, এই আন্দোলন জামাতের দীর্ঘ ৫৪ বছর প্রতিক্ষার ফসল।

১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে তারা।আর ইউনুস সরকার তাদের আনুগত্য প্রতিনিধি।আর সমনয়কেরা জামায়াতের সৃস্টি নিজস্ব প্রতিনিধি।দেশের সার্বিক ক্ষমতা তাদের কব্জায়।রাস্ট্র ক্ষমতায় আসার রুপরেখা চুড়ান্ত জামাতের:-অন্তরবর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন তা সুনিদৃস্ট নয়।যদিও বিএনপি ক্ষিন আওয়াজে নির্বাচনের আওয়াজ তুলছেন।

তাতে কর্নপাত নাই ইউনুস সরকারের।যেন নির্বাচন বিষয়ে কুলুপ এটেছেন মুখে।বিএনপিকে মাইনাস করে, ইউনুসের নাগরিক শক্তি, না জামাত সরকার গঠন করবে এ নিয়ে চলছে হিসেব নিকাশ।তবে সব কিছু নির্ভর করছে প্রভু আমেরিকার উপর।অনেকেই বলছেন, ইউনুসের নাগরিক শক্তি ৩০০ আসনের প্রার্থী নিশ্চিত অথবা জামাতের সাথে সমঝোতা হলেই নির্বাচন।এতে সময় যত যাক।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ।