শনিবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

নেত্রকোনায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে গণসংবর্ধনা

আপডেটঃ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনা: আমি কোন অন্যায় করিনি।কিন্তু একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল।আল্লাপাক আপনাদের দোয়া কবুল করে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন।দেশের জনগণের স্বার্থ,স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্বের বিরুদ্ধে আমি কোন কাজ করিনি।জনগণের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব রক্ষায় আমি জীবন দিতে প্রস্তুত।

আওয়ামী লীগ আমার নেতা তারেক রহমান ও নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দিয়েছিল।কিন্তু আমি এ সব পরোয়া করিনি। শুধু আল্লাকে ঢেকেছি।সত্যের জয় হয়েছে।’‘দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দলীয় নেতা-কর্মী,ভাই-বোনদের বলছি আপনারা কোন ফাঁদে পা দিবেন না।আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছিগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার যাতে আসতে পারে সে জন্য সুষঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন।তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন দেশ গড়ে তুলবো।নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হই,আমার নিজ জেলা নেত্রকোনায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হবে।’

রোববার বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন  সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক আনোয়ারুল হক।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালী।

লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।২০০৭ সালে গ্রেপ্তারের পর নানা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন।যার মধ্যে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল।তবে সাম্প্রতিক রায়ের ফলে ধাপে ধাপে তিনি মুক্তি পান এবং সবশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়ও খালাস পান।দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি নিজ জেলায় আসেন।

লুৎফুজ্জামান বাবর গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নেত্রকোনায় আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।সকাল থেকে জনপ্রিয় ওই নেতাকে বরণ করতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা মোক্তারপাড়া মাঠে মিলিত হন।হাজার হাজার জনতায় বিশাল মাঠটি কানায় কানায় ভরে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান লোকজন।

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।