শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

প্রতারণা করে ২য় বিয়ে করায় নোয়াখালীর রুমকির ১০ বছর সাজা

আপডেটঃ ১২:১৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৪, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

নোয়াখালী:- প্রথম বিয়ে গোপন করে, অশ্বদিয়া বোর্ড স্কুল সংলগ্ন বাড়ি প্রথম স্বামী আল আমিন আলিফ কে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় দ্বিতীয় স্বামীর করা মামলায় নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার দশ নং অশ্বদিয়া ইউনিয়ন এক নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম ও শাহিন আক্তার রোজি ম্যাড্যামের মেয়ে সোলতানা সোলায়মান মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা জান্নাতুল নাঈম রুমকির ৪৯৫,৪৯৬ ধারায় এক বছর স্বশ্রম কারাদণ্ড দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস স্বশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।গত ১২/১২/২২ ইং তারিখে নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক নং বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এক জনাকীর্ণ পরিবেশে উক্ত রায় ঘোষণা করেন।মামলা জি ডি ও মামলার প্রতিবেদন সুত্রেজানা যায়, অভিযুক্ত আসামী জান্নাতুল নাঈম তার বিবাহিত প্রথম স্বামী আল আমিন আলিফ পিতা মোঃ আবদুস সাত্তার, মাতা সকিনা আক্তার, সাং-পশ্চিম অশ্বদিয়া, (ভোট স্কুলের পশ্চিম পাশের বাড়ী) থানা সুধারাম, জেলা নোয়াখালীর সহিত ঘর সংসার চলমান রাখিয়া প্রথম স্বামী আল আমিন প্রকাশ আলিফ কে তালাক না দিয়া নোয়াখালী জেলার কামরুল হাসান এর সহিত ১৯/১১/২০১৩ইং তারিখে ২য় বিবাহে আবদ্ধ হন ।

জানা যায়, বাদী কামরুল হাসান একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।জান্নাতুল নাঈম গং ঠক প্রতারক বিশ্বাস ভঙ্গকারী ছলনাময়ী কুটকৌশলী নিম্ন বংশীয় পরিবারের লোক হয়।তারা দেশের আইন কানুনের তোয়াক্কা করেন না।তারা সব সময় ধরাকে সরাজ্ঞ্যান মনে করেন।

বিবাহের পর হইতে কামরুল দেখিতে পায় যে, স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম প্রকাশ রুমকি মোবাইলে ইন্টারনেটে পিতার চেয়ে বড় নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক খালেদ মামুন, খালাতো বোনের দেবর মনির সহ অসংখ্য অপরিচিত লোকজনের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত।

রুমকি ২য় বিয়ের আগে পরে খালেদ মামুনের মাইজদীস্থ ব্যাচেলর বাসায় অসংখ্য বার আসা যাওয়া করেন।স্বামী কামরুল হাসান এর অনুপস্থিতিতে মোবাইলে খালেদ মামুনের সাথে সেক্স করতেন, বলে স্বামীর নিকট স্বীকার করেন।পরবর্তীতে তার মোবাইল মেমোরী চেক করে স্বামী দেখতে পান যে, খালেদ মামুনের সহিত তার ছবি উঠানো আছে।

খালেদ মামুনের ছবি গুলো ইংরেজীতে মাই মামুন, মাই লাভ মামুন, লাভলী, দিয়ে সেইব করা।এইচএসসি পড়ার সময় মাইজদী মসজিদ মোেেড়র এক হোটেল মালিকের ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কয়েকবার বিচার হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার দাদী দুই বিবাহিত।তার চাচা বেলাল চার বিয়ে করেন।আরেক জেঠা তিন বিয়ে করেন।

তার চাচার ১০ম প্রেমিকা চিটাগং হতে তাদের বাড়ী আসলে তার পিতা তার শ্লীলতাহানী করে মেরে বাড়ী হতে বের করে দেন।তার পিতা মোবাইলে পরিচয়ে প্রেমের টানে বগুরাতে গিয়ে প্রেমিকার সাথে রাত্রি যাপনের সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে মার খেয়েছেন।সুত্রমতে মতে রুমকির নানী হচ্ছেন সকল অসৎ কাজের উৎসাহ ও পশ্রয় দাত্রী।

নানা সুবেদার রেজাউল হক ও দুই বিয়ে করেন।রুমকির মাতা প্রেম করতেন পাশের বাড়ীর অন্য এক জনের সাথে, তার পিতা দুই জনের চিঠি আনয়ন করতেন, সে সুবাদে ও পরে তার পিতা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতে যান তার নানার ঘরে, তখন থেকে তার মায়ের সাথে প্রেম, পরে তার মা তার পিতার সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।

তার মায়ের বিয়ে হয় ১৩ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫ইং, জন্ম সনদ,রুমকির ২য় বিয়ের কাবিন, একাডেমিক সনদ অনুযায়ী তার জন্ম হয় ১০ই জুন ১৯৯৫ইং অর্থাৎ তার মায়ের বিয়ের ৩ মাস ২৮ তম-দিনে তার জন্ম হয়।এলাকাবাসী জানান তার পিতামাতা ভাই উভয় পর পুরুষে ও পর নারীতে আসক্ত।রুমকির বড় খালা লাখি বিয়ের পর তিন সন্তান রেখে প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।

তার আরেক খালা বিয়ের এক সপ্তাহ পর ঘরে নতুন জামাই রেখে অন্য প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।খালাতো বোনদেরও দুই বিয়ে করে হয়েছে বলে জানা য়ায়।তার মামা মহিউদ্দিন সুমন ঘরে বউ রেখে অন্য নারী নিয়ে রাত কাটানোর জন্য ১ম স্ত্রী প্রতিবাদ করায় ফুটফুটে সুন্দর দুই মেয়ে থাকার পর ও তার মায়ের উস্কানী, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় তার মামা ১ম বউকে তালাক প্রদান করেন।

পরে রাত কাটানো সেই মেয়ে মুক্তি কে মামা মহিউদ্দিন সুমন বিয়ে করেন।ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং,তার মামা মহিউদ্দিন সুমনকে জামালপুর জেলার রাজিবপুর কাওনিয়ারচর কর্মস্থল এলাকায় এক মেয়ের সাথে রাত একটায় শাররীক সম্পর্ক করা অবস্থায় পেয়ে স্থানীয় লোকজন মেরে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন, পরে ২য় স্ত্রী মুক্তি থানা হতে ছাড়িয়ে নেন।

তার গাড়ী চালক মামা রিপন একাদিক নারীর সাথে পরকীয়ায় মগ্ন,এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তার মামা মামি রুনাকে প্রতি সপ্তাহে মারধর করেন বলে জানা যায়।তার ফুফাতো বোন পলি মামা ইমামের সাথে প্রেম করেন যার সহযোগী ছিলেন রুমকি নিজে।পলি তার মত অসৎ আচরণের জন্য তালাক হয়ে যায়।

স্বামী কামরুলের সংসারে থাকাকালিন রুমকির গোপনে ব্যবহৃত ০১৮৩৯৬৩৩১৪৪ নাম্বারের কল লিস্ট হতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সে শিক্ষক খালেদ মামুন, চাচার শ্যালক সম্পর্কে মামা মঞ্জুরুল আলম রকি মোবাইল ০১৮৩৯-৭০৩৯০৪,০১৮২৮৫২১২৬২, পিতা- রহমত উল্যা, মাতা- জান্নাতুল ফেরদাউস, প্রযত্নে- ইমাম উদ্দিন সওদাগর বাড়ী,গ্রাম-সাহাপুর,পোঃ-হাসান হাট,থানা-সুধারাম, জেলা-নোয়াখালী।

জিহাদ ০১৮২২-১৪১৪৭৯,+২৭৬২৭১৯৮৩৪০, তার মায়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলে সাদ্দাম ০১৮৬৩-০৮৫৯৬৭ নাম্বার এর সাথে রাত দিন, রাত ৩-৪ টা বাজে কথা বলেন।০১৮৩৯৬৩৩১৪৪ নাম্বারটি রকির নামে রেজিষ্ট্রেশন।জানা যায় স্বামীর নামীয় তার ব্যবহৃত ০১৭৫৯৮৭৭৫০০, ০১৭৫৪৯৯৯০২০, ০১৮৬২২৫৭৩১২ এই নাম্বার দ্বয় হতে উক্ত লোকদয়ের সাথে কথা বলেন ও দেখা সাক্ষাত করেন।

রুমকির ব্যবহৃত কোরআন শরীফের নিচে আরো একটা গ্রামীণ সীম পাওয়া যায়।যাহার এস.এল নং-৮৯৮৮০১০২০৮১১০১২০৬৯৩খ, রুমকি আবার স্বামী কে ফাকি দিয়ে শেষ সংখ্যা ৪৭৯ নাম্বার ব্যবহার শুরু করেন তা স্বামী জানার পর স্বামীর অজান্তে রবি শেষ সংখ্যা ৭৩০১৪ নাম্বারটি ব্যবহার শুর করেন।

রবি শেষ সংখ্যা ৭৩০১৪ নাম্বার হতে আবার ও প্রেমিক মামা রকির সাথে ০১৮৪৬৪৭১৬২৪ নাম্বারে গোপনে আলাপ চালিয়ে যান, ৭৩০১৪ নাম্বার হতে রকির সাথে ০১৮৪৬৪৭১৬২৪ নাম্বারে ২৪/০৪/২০১৭ তারিখে একটানা প্রায় ৫৩ মিনিট (৩১২৫ সেকেন্ড) কথা বলার রেকর্ড আছে।

অন্য দিকে রুমকি রুপকথার গল্প নাম দিয়ে একটি পেইজবুক আই.ডি,স্বপ্ন বিলাসী নামে একটি, ইমরান ইমু নামে একটি ,আমি আজও ভালোবাসি তোমায়’ নামে একটি আইডি নং ১০০০২৭৫১০৭৮৫৫০ ব্যবহার করেন, প্রতিটি আইডির নাম একাদিকবার পরিবর্তন করেন।

উক্ত আইডি হতে স্বামী কামরুল এর আইডি ব্লক করে দেন, আইডি গুলো থেকে সে গভীর রাত পর্যন্ত অপরিচিত লোকদের সাথে চ্যাটে ব্যস্ত থাকেন নিত্য নতুন স্মাট প্রেমিক এর সাথে প্রেম চালিয়ে যান।

এর মাঝে স্বামী কামরুল হাসান জানতে পারেন যে, তার সাথে বিবাহের পূর্বে রুমকি বিগত ১৪/১০/২০১২ইং জৈনক মোঃ আল আমিন প্রকাশ আলিফ এর সহিত প্রথম বিবাহ করেন। প্রথম বিবাহের কথা স্বামী কামরুল হাসান জানার

পর রুমকি কামরুলের মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয় স্বজনের সহিত খুবই খারাপ ব্যবহার করেন।প্রায় শ্বশুড়ী মাতাকে বুড়ি ও অশালীন বাক্য সম্বোধন করেন, কথায় কথায় মন্দ বলেন।পরে গোপনে রুমকি তার পিতার বাড়ীতে চলে যান।সুত্রমতে, তার পিতা মাতার নির্দেশে তার ভাই রূপক ফার্মেসী হইতে জিসকা ফার্মা নির্মিত এমএমকিট ক্রয় করে আনেন।

রুমকি পিতার বাড়ীতে অবস্থান করে সেচ্ছায় স্ব-জ্ঞ্যানে উক্ত ঔষুধ খেয়ে কামরুল এর ঔরস তার গর্ভের অনাগত সন্তান গর্ভপাত করে বিনষ্ট করে অকাল গর্ভপাত ঘটান।এদিকে রুমকি আমেরিকান ছেলেকে বিয়ে করে আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর আছেন ।

প্রথম বিবাহ গোপন করে প্রথম স্বামী আল আমিন কে তালাক না দিয়ে কুমারি সেজে ২য় বিয়ে করার দায়ে ২য় স্বামী কামরুল বিজ্ঞ আদালতে ৭২৬/২০১৮ মামলা দায়ের করেন।এতে আসামী করেন ১।জান্নাতুল নাঈম প্রকাশ রুমকি (২৩), পিতা আবদুর রহিম, ২।মোঃ আবদুর রহিম (৫২), পিতা মৃত মুকবুল আহাম্মদ, ৩।শাহীন আক্তার প্রকাশ রোজি (৪৭), স্বামী আবদুর রহিম, ৪।

ইমরান হোসেন রূপক (২০), পিতাঃ আবদুর রহিম, ৫।বেলাল হোসেন পিতা সামছুল হক ৬।সহেল (৪২), পিতা মৃত মুকবুল আহাম্মদ উভয় সাং-পশ্চিম অশ্বদিয়া, (মুকবুল আহম্মদ নতুন বাড়ী), ১০নং অশ্বদিয়া ইউ.পি, ০১নং ওয়ার্ড, ৭।মজ্ঞুরুল আলম রকি, পিতা রহমত উল্যাহ, পোঃ হাসান হাট, ইমাম ইদ্দিন সওদাগর বাড়ী,৮।

রিপন, পিতা রেজাউর হক, অলিপুর, সর্ব থানাঃ সুধারাম, জেলা নোয়াখালী।তদন্ত শেষে কর্মকর্তা প্রতারনার মামলায় জান্নাতুল নাঈম প্রকাশ রুমকি, মোঃ আবদুর রহিম, শাহীন আক্তার প্রকাশ রোজি কে আসামী করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন এবং গত ১১/০৩/২০ ইং তারিখে রুমকি ও তার পিতা মাতার বিরুদ্দে ৪৯৪,৪৯৫,৪৯৬,১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করেন আদালত।

গর্ভপাত করে সন্তান বিনষ্ট করার দায়ে স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম প্রকাশ রুমকি, শ্বশুর মোঃ আবদুর রহিম ,শাশুড়ী শাহীন আক্তার প্রকাশ রোজি, শ্যালক ইমরান হোসেন রূপক কে বিবাদী করে স্বামী কামরুল হাসান বিজ্ঞ আদালতে ৩১২/৩১৩/১০৯/৫০৬/৩৪ ধারায় পিটিশন নং-৫৮৪/২০১৮ দায়ের করেন ।

রুমকি সদর পারিবারিক আদালত নোয়াখালী বরাবর স্বামী কামরুল হাসান এর বিরুদ্বে দেনমোহর ও খোরপোষের জন্য মামলা দায়ের করেন।প্রথম বিয়ে তালাক না দেওয়া প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ নয় বলে দেনমোহর মামলা খারিজ করেন আদালত।

গত ১২/১২/২০২২ ইং জনাকীর্ণ পরিবেশে দ্বিতীয় স্বামী কামরুল এর করা প্রতারণা সি আর ২৩৭/২০১৯ মামলায় ৪৯৫, ৪৯৬ ধারায় জান্নাতুল নাঈম রুমকির ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড রায় দেন েেনায়াখালী চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক নং বিচারিক আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

এব্যাপারে বাদী কামরুল বলেন পুরুষরা আজ নারীর চেয়ে বেশি নির্যাতিত, সামাজিক অবক্ষয় ও এহেন প্রতারনা রোদে তার এ মামলা দায়ের, আরও বেশি সাজা হওয়ার জন্য আপিল করবেন এবং সরকারের প্রতি পুরুষ নির্যাতন আইন করার আহব্বান জানান ।

IPCS News : Dhaka : সাইফুল ইসলাম নাদিম : নোয়াখালী।