মদনে বন্যায় গো খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারীরা।
আপডেটঃ ২:০০ অপরাহ্ণ | জুন ২৫, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা:- নেত্রকোনা মদন উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় গো খাদ্যের সংকটে বিপাকে পড়েছে খামারীরা।হটাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের খড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছে খামারীরা।এ দিকে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ী ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হু হু করে বাড়িয়ে দিয়েছে গো-খাদ্যের দাম।এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।মদন পৌরসভার মেসার্স জয় মা ডেইরী ফার্মের মালিক সুজন নাগ জানান, আমার খামারে প্রায় ২০/২৫ দুগ্ধ গাভী রয়েছে।বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারের ভিতর পানি ডুকে যাওয়ার ফলে খড় সহ অনেক কিছু পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।আমার খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।খামারটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করায় আমি অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।ফলে গাভীর দুধ কমে গিয়াছে।
অন্য দিকে খাবারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে, মাঘান ইউনিয়নের বাসিন্দা খামারী মন্জু শাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বন্যার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা গো খাদ্যের দাম রাতারাতি দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।শুকনো খড় না থাকায় কুচুরীপনা অনেক দুর থেকে এনে অল্প অল্প করে গরুকে ক্ষেতে দিচ্ছি।
তবে দ্রুত বন্যার পানি না থামলে গরু বিক্রয় ছাড়া পথ থাকবে বলে মনে হয় না।এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মেসার্স মাশরুফা ডেইরি ফার্ম,নিশান খোকা ডেইরি, তাপস চৌধুরী ডেইরি ফার্ম,আয়শা ডেইরি ফার্ম, রাবিয়া ডেইরি ফার্ম, প্রার্থ এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম এর মালিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা অনেক বিপাকে পরছি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ করিম সিদ্দিকী এ প্রতিনিধিক জানান, বন্যায় আক্রান্ত গরুর খামার উপজেলা ও পৌরসভা সহ প্রায় ২৮টি হাসঁ ও মুরগির খামার আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫২ টি।ক্ষতিগ্রস্ত খামারের তালিকা করা হয়েছে।গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন এর সাথে কথা বলে বাজার মনিটরিং করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমদ এ প্রতি-নিধিকে জানান, হটাৎ করে বন্যার পানি আসায় মদন উপজেলা গো খাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে।দাম বৃদ্ধি ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বন্যায় যদি কোন ব্যবসায়ী গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করে এমন অভিযোগ ফেলে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।