সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

আমার গ্রাম,পল্লী জননীর কোল, নিভৃত, কোলাহল শূন্য।।

আপডেটঃ ৮:০৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

আমার গ্রাম, পল্লী জননীর কোল, নিভৃত, কোলাহল শূন্য।সুনশান শান্ত পরিবেশ।আধুনিক বিজ্ঞানের আশীর্বাদের ছোঁয়ায় উন্নততর সুযোগ সুবিধার পরশ পেলেও পল্লী-মায়ের আদলে পরিবর্তনের কৃত্রিমতার কোন ছাপ পড়েনি।এখানকার সাধারণ মানুষগুলো নিরীহ নিরুদ্বেগ চুপচাপ।নগর জীবনের ব্যস্ততার প্রতিযোগিতা এখানে নেই বললেই চলে।জীবন বদলানোর বদলে বাহ্যিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য অনৈতিক, দুর্নীতির হৈ হুল্লোড় এদেরকে ছুঁতে পারে না।আমার পল্লীগ্রামের সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজ, শাড়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শাড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাড়াতলা-গোকর্ণ দাখিল মাদ্রাসা, পিবিএস এরিয়া অফিস, শাড়াতলা নৈাহাটী, শাড়াতলা মহিলা কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা।আর্থিক লেনদেনের সুবিধার জন্য কয়েকটা ব্যাংকের এজেন্ট শাখা (সবই শাড়াতলা বাজার কেন্দ্রিক।

পাকশিয়া আইডিয়াল কলেজ, পাকশিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজ, পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাকশিয়া সরকারি কলকাকলি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকশিয়া এবং পল্লী অঞ্চলের সবচে বড় পাঠাগার ডিহি ইউনিয়ন পাবলিক লাইব্রেরী, পাকশিয়া, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাকশিয়া; ডিহি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পাকশিয়া, আর্থিক লেনদেনের জন্য কয়েকটা ব্যাংকের এজেন্ট শাখা (সবই পাকশিয়া বাজার কেন্দ্রিক)।

এ ছাড়াও পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র কমিউনিটি কেন্দ্রসহ আরও নান্দনিক স্থাপনা সড়ক ও মানুষের জীবনযাত্রা সবখানেই গ্রামের ছোঁয়া আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।বিস্তৃত শান্তশিষ্ঠ সবুজ সমভূমি প্রাকৃতিক নৈসর্গিক স্নিগ্ধস্নাত হয়ে প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে আছে।গ্রামের অকৃত্রিম সরল মানুষগুলো খুবই পরিশ্রমী বন্ধুপরায়ন।বৃক্ষ লতার মত মিলেমিশে একাত্ম হয়ে থাকতে ভালোবাসে।

এই সহমর্মিতা পল্লী জননীর যে প্রকৃত দৃশ্যেরই প্রস্ফুটন তা সন্দেহাতীতভাবেই উল্লেখ করা যেতে পারে।গ্রামের সবুজ শ্যামল মাঠে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।স্বচ্ছ আকাশের দিকে তাকালে বিকালের সুন্দর দৃশ্যটা দৃষ্টিতে আকৃষ্ট হয়ে যায়।আকাশে ভাসমান মেঘের ভেলার প্রতিচ্ছবি পানিতে তৈরি করে আরেকটা আকাশের প্রতিবিম্ব।

প্রাণী-বৈচিত্রও বেশ উল্লেখনীয়।বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কথা লিখতে গেলে কলেবর বেড়ে যাওয়ার আশংকায় এখানে লেখায় কাঁচি চালিয়ে ছেটে দিতে বাধ্য হলাম।

(লেখক:- নূর মোহাম্মদ নূর : অব: রেলওয়ে কর্মকর্তা)।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।