সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা মুক্তদিবস উদযাপন

আপডেটঃ ১:১৮ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনা:- আজ ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা মুক্ত দিবস। জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্বোগে নানা কর্মসূচীতে উদযাপিত হয়েছে দিবসটি। সকালে জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে মুক্ত দিবসের বেলুন উড়ানো হয় এবং ভাস্কর্য প্রজন্ম শপথ ও সাতপাই স্মৃতিসৌধে ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস,পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল হক এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান তালুকদার,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট মাহফুজুল হক,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রহমান পাঠান,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস,এম মনিরুজ্জামান দুদু,জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন খান মিলকীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এ ছাড়াও জেলা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ,জেলা বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,কৃষকদল,সেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে পাবলিক হলে মুক্ত দিবস,রোকেয়া দিবস ও দূর্নীতি মুক্ত দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের অর্ন্তভুক্ত নেত্রকোনা জেলার রয়েছে গৌরমবময় ইতিহাস।রনাঙ্গনে এখানকার প্রায় তিন হাজার মানুষ সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে।স্বাধীনতা অর্জনে প্রাণ দিতে হয় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় এক হাজার সাধারন মানুষকে।

হানাদাররা ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল নেত্রকোনায় প্রবেশ করে।দালালদের সাথে নিয়ে তারা মেতে উঠে নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞে।মানুষকে ধরে এনে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে ফেলে দেয় নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া ব্রিজ.নেত্রকোনা থানার পাশে নদীরপাড়,চন্দ্রনাথ স্কুলের নদীরপাড়,চল্লিশা রেল ব্রিজে এবং পূর্বধলার ত্রিমহোনিতে।নেত্রকোনাকে মুক্ত করার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা ৮ ডিসেম্বর তিনদিক থেকে পাকসেনাদের সাথে লাগাতার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে।৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা কৃষিফার্ম এলাকায় এ্যাম্বোস পেতে হানাদারদের উপর আক্রমন করে। এ সময় সরাসরি যুদ্ধে শহীদ হন আব্দুল জব্বার,আব্দুর রশিদ ও আব্দুর সাত্তার।এই যুদ্ধে বহু পাকসেনা নিহত হয় ও অনেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।হানাদার মুক্ত হয় নেত্রকোনা।

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।