সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

১৬০ ইউপি ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

আপডেটঃ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

আজ ২০ সেপ্টেম্বার দেশে প্রথম ধাপের ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।ভোটগ্রহন একটানা চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।১১ ইউনিয়ন পরিষদ ও সব পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।একই সাথে উপনির্বাচন চলছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২টি পৌরসভার একটি করে ওয়ার্ডে।এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনটি পৌরসভায় মেয়র, ৪৪ ইউপি চেয়ারম্যান, ৩৯ ইউপি সদস্য এবং সাতজন সংরক্ষিত সদস্য।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বাদে ইউপিতে ৮ হাজার ৭১০ ও পৌরসভায় ৪৮৬ প্রার্থী লড়ছেন।অনেক এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নির্বাচনকে ঘিরেে।আবার কিছু এলাকায় শঙ্কা বিরাজ করছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, প্রচারে বাধা, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ঘটনায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে।

অনেক ইউপি ও পৌরসভায় মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও।এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।এদিকে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে সতর্ক করেছে ইসি, একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালানোর জন্য।নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন, যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তাতে স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন।

রোববার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার সবকটি এবং কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নে আজ সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়।এ দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট ও নোয়াখালী জেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।

উল্লেখ্য, ১৬০ ইউপি নির্বাচনে ৬ জেলার ২৩ উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।৫০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাকি ১১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে।১৬০ ইউপির এক হাজার ৪৪০টি সাধারণ সদস্য পদের মধ্যে ৩৯টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হওয়ায় বাকিগুলোতে ভোট হচ্ছে।

এসব পদে ৬ হাজার ২৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।একইভাবে এসব ইউপির ৪৮০ সংরক্ষিত সদস্য পদে সাতজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।বাকি ৪৭৩ পদে এক হাজার ৯৪১ জন লড়াই করছেন।সব মিলিয়ে ১৬০ ইউপিতে ৮ হাজার ৭১০ প্রার্থী লড়ছেন।ইউপি নির্বাচনে পুলিশ-আনসার সমন্বয়ে ১৬৪টি মোবাইল টিম ও ৫৩টি স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন রয়েছে।

এ ছাড়া র‌্যাবের ৩২০টি টিম, স্ট্রাইকিং ১৬০টি টিম ও অতিরিক্ত ১১টি টিম রয়েছে।বিজিবির ৩২০ প্লাটুন মোবাইল, ১৬০ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ও অতিরিক্ত ১৭ প্লাটুনও মাঠে রয়েছে।কক্সবাজার, বাগেরহাট ও খুলনার উপকূলীয় ইউপিগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড সদস্য রাখা হয়েছে।৬৯ নির্বাহী ও ২৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন আচরণ-বিধি প্রতিপালনে।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসারের ২২ সদস্য মোতায়েন থাকছে।ইসি সচিব জানান, যেসব স্থানে রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনে করেছেন সকালে ব্যালট পেপার দিলে তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট আয়োজন করতে পারবেন, সেখানে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১১ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।

আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ৮১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতি পৌরসভায় একজন করে ৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন।কেন্দ্রের বাইরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ পৌরসভায় পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯ স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের ২৭ টিম ও ২০ প্লাটুন বিজিবি মাঠে রয়েছেন। পৌরসভাগুলোতে ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪২ জন।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে শনিবার বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আশা করতে পারি-স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আমরা বলতে পারি, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমরা দেখছি।

জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেছি।তারাও আমাদের কথা দিয়েছেন।ইসি সচিব বলেন, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে চার জেলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছি।তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স লাগবে, আমরা বাড়তি ফোর্স মোতায়েন অনুমোদন করেছি।

কমিশন সব সময় ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন আশা করে।তফসিল ঘোষণার ছয় মাসের বেশি সময় পর এসব পৌর ও ইউপিতে আজ ভোট হতে যাচ্ছে।১১ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা ছিল।করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দুই দফায় নির্বাচন পিছিয়ে যায়।

যদিও এর আগে প্রথম ধাপের ২০৪ ইউপিতে ভোট হয় ২১ জুন।৫টিতে প্রার্থী মারা যাওয়ায় এবং সেন্টমার্টিন ইউপিতে যাতায়াত সমস্যা থাকায় সেগুলোতে এ মুহূর্তে ভোট হচ্ছে না।

IPCS News Report : Dhaka :