সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

স্বর্ণপাচারে ১৫০০০ টাকা চুক্তি, এপিবিএন কর্তৃক গ্রেপ্তার ০২

আপডেটঃ ১২:৪২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫০০০ টাকার বিনিময়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টাকালে ০৩ পিস গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার সহ ০২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।আজ বেলা ১১০০ ঘটিকায় কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার পর বিমানবন্দরের হেল্প সার্ভিস প্রোভাইডার শুভেচ্ছার স্টাফ মো: নাইমুর রহমান তন্ময়(২৬) এবং যাত্রী মো: আলমগীরকে (৪৮) এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, স্বর্ণ আমদানীতে ট্যাক্সের হার বেড়ে যাওয়া এবং বৈধভাবে শুধুমাত্র ০১ টি গোল্ডবার ব্যাগেজ সুবিধায় বিনা ট্যাক্সে নিয়ে আসার নিয়ম করার পর পাচারকারী চক্র বিভিন্ন ধরনের কৌশলে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা করছে।এমনি একটি কৌশল ছিল হেল্পলাইন স্টাফ ব্যবহার করে স্বর্ণ পাচারের।

যাত্রী আলমগীর আজ সকালে দুবাই থেকে আগত এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরন করেন।দুবাই থাকা অবস্থাতেই তিনি শুভেচ্ছা সার্ভিসের হেল্পার তন্ময়ের সাথে স্বর্ণ পাচারে সহযোগিতার বিনিময়ে ১৫০০০ টাকার ডিল করেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমান থেকে নেমে যাত্রী আলমগীর বেল্ট এরিয়ায় দাঁড়িয়ে তন্ময়ের সাথে যোগাযোগ করেন।

হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময় বেল্ট থেকে যাত্রীর কাছ থেকে ০৩ পিস গোল্ডবার সংগ্রহ করেন এবং যাত্রীর মালামাল সহ গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করেন।কিন্তু বেল্টেই যাত্রীর কাছ থেকে গোপনে কিছু একটা গ্রহণ করে নিজের প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলা তন্ময়কে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল নজরে রাখছিল।

বিমানবন্দরের কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল পার হয়ে সে যখন বের হয়ে যাচ্ছিল তখন তাকে আটক করা হয়।এসময় সে স্বীকার করে তার কাছে গোল্ড রয়েছে এবং পরবর্তীতে যাত্রীকেও শনাক্ত করলে যাত্রী আলমগীরকেও আটক করা হয় এবং এয়ারপোর্ট এপিবিএন এর অফিসে নিয়ে আসা হয়।

এসময় তাদের তল্লাশী করলে হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময়ের কাছে ০৩ টি গোল্ডবার যার ওজন ৩৪৮ গ্রাম এবং যাত্রী আলমগীরের কাছ থেকে ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।যাত্রী এবং হেল্পলাইন স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পর যোগসাজশে স্বর্ণপাচারের পরিকল্পনার বিষয়টি তারা উভয়েই স্বীকার করেন।

উদ্ধারকৃত স্বর্নের মোট ওজন ৪৪৭ গ্রাম এবং বাজার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান যে যাত্রী আলমগীর (৪৮) মুন্সীগঞ্জ এবং হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময় ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী।তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

IPCS News : Dhaka : এপিবিএন : ঢাকা।