সারদিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রাজশাহী দেখা মেলেনি সূর্যের
আপডেটঃ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী :- কুয়াশার চাদর আবৃত করে রেখেছে রাজশাহীর আকাশকে।সকাল গড়ীয়ে দুপুর,দুপুর থেকে সন্ধা গড়ালেও রাজশাহীর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি।রাতের আড়মোড়া ভেঙে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে সারাদিন তাই সূর্যের আলো দেখেনি রাজশাহীর মানুষ।
৯ ডিসেম্বর সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টার পর রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে।তবে দুপুর- বিকেল গড়ীয়ে সন্ধা আসন্ন তবুও সূর্যের দেখা মেলেনি।ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে পুরো রাজশাহী।ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে।আর এ কারণেই বেড়েছে শীতের দাপট।নিম্নআয়ের মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে, ক্ষতি হচ্ছে কৃষি মাঠের ফসল।অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বেকায়দায় পড়ছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ১০ টায় ১৭.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেলা ১১ টায় ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দুপুর ২টায় ১৮ ডিগ্রী,বিকেল ৪টায় কমে ১৩ ডিগ্রীতে নেমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বলছে রাতে তাপমাত্রা আরো কমবে।ফলে রাতে তীব্র শীত অনুভব হবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারি আনোয়ারা খাতুন সকালে জানিয়েছিলেন,দুপুর পর্যন্ত সূর্য না উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে দুপুরের পর বিকেলের দিকে সূর্য দেখা দিতে পারে।তবে আবহাওয়া দপ্তরের কথা রাখেনি সূর্য, দেখা দেয়নি সারাদিন।এদিকে সূর্যের দেখা না মেলায়, রাস্তাঘাটে লোকজনের সমাগম দেখা গেছে।কুয়াশা ও সূর্যের লুকোচুরির সাথে সাথে মৃদু বাতাস ও দুপুর নাগাদ বৃষ্টির ফোটা ঝরে।ফলে মৃদ ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের বাইরে তেমন দেখা যায়নি।
অপর দিকে কর্মজীবি ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চাদর, শুয়েটার, মাফলারসহ মোটা কাপড় পরিধান করে বের হতে দেখা গেছে।শহর ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে আসায় প্রয়োজনীয় যাত্রী না পেয়ে অর্থ কষ্টে পড়েছে রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোচালকেরা।অন্যদিকে কুয়াশা ও শীতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশেষ করে শিশুরা ভাইরাস জ্বর আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে শীতের শুরু থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন চিকিৎসকরা।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।