সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

সাভারের আমিন বাজারে ৬ ছাত্র হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেটঃ ৪:৫০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০২, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

সাভারের আমিনবাজারে ৬ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।আদালত এই রায়ে ১৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় পর ঘোষণা হলো।বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন।এ মামলার মোট আসামি ছিল৬০ জন।এদের মাঝে মারা গেছেন ৩ জন, বাকি ৫৭ জনের মধ্যে ৩২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।আর মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বাকি ২৫ জনকে।ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২ডিসেম্বার দিন ধার্য করেন।এই মামলার সাক্ষী ছিল ৯২ জন, এর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেওয়া হলো।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে-বরাতের রাতে ৬ কলেজ-ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।নিহতরা হলেন:- ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান, টিপু সুলতান, তৌহিদুর রহমান পলাশ, সিতাব জাবির মুনিব ও শামস রহিম শামীম।তাদের মাঝে আল-আমিন নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

ঘটনার পর স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক কথিত ডাকাতির অভিযোগে বেঁচে যাওয়া আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।একই সাথে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে।উচ্চ আদালতের নির্দেশে, পুলিশ, সিআইডির হাত ঘুরে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‌্যাবের হাতে।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে জখম করে।পরবর্তী সময়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেন এবং থানায় মিথ্যা মামলা করেন।

বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়।২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

IPCS News : Dhaka :