সাংবাদিকেরাই পারে কারো জীবন বদলে দিতে
আপডেটঃ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | মে ২২, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- এতোদিন আত্মীয়-স্বজনরা যা করতে পারেনি, তা সাংবাদিকরা করেছে, আমার জীবন বদলে দিয়েছে তারা।আমি খুবই খুশি।আমার বিপদে এতো গুলো সাংবাদিক পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা।কথা গুলো হাসপাতালের বিছানায় বসেই বলছিলেন, অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালানো মাইনুরজ্জামান সেন্টু।রোববার দুপুরে এই অসুস্থ্য মানুষটির সারা জীবনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশন।ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ রুবেল নিজে উপস্থিত হয়ে তার হাতে সামান্য অনুদান, ফল মূল তুলে দেন।সেন্টুকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও চিকিৎসা পরবর্তী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।সেই সাথে গৃহহীন সেন্টুকে একটি আবাসন গড়ে দেবারও আশ্বাস দেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাইনুরজ্জামান সেন্টুর খবর প্রচারের পর বহু দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার সাথে যোগাযোগ করেছেন।
ফলে চিকিৎসা ব্যায় ভার বহন নিয়ে আর কোন চিন্তা এখন তাকে করতে হচ্ছেনা।ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের।যিনি প্রথম অসুস্থ্য মাইনুরজ্জামান সেন্টুর রিক্সা চালানোর ছবিটি তোলেন, সেই ফটো সাংবাদিক বলছেন, কোন উদ্দেশ্য থেকে নয় এতো কষ্ট দেখে মায়া থেকেই ছবিটি তিনি তুলেছিলেন।এ ছবি থেকেই সেন্টুর যে জীবন বদলে যাবে তা তিনি ভাবেন নি।
১ সপ্তাহ থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১৪নং ওয়ার্ডের ১২নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। এর আগে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ তার চিকিৎসার ভার নেন।এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সেন্টুর খোঁজ খবর নিয়েছেন।
সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী তাকে অর্থিকভাবে সহায়তা করা ছাড়াও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনার জন্য কথা বলেছেন।এছাড়া নাম প্রকাশ না করে অনেকেই সহায়তা করেছেন সেন্টুকে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালঅম আজাদ : রাজশাহী।