রবিবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

শ্বেতপত্রের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন:১৫ বছরে এডিপির ৪০ শতাংশ অর্থ লুটপাট

আপডেটঃ ১:১৫ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০২, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা, ২ ডিসেম্বর ২০২৪:- বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা।এই অর্থ গত ৫ বছরে দেশের জাতীয় বাজেটের চেয়ে বেশি।প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩.৪ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতিবেদনটি জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে, যার ৪০ শতাংশ অর্থ লুটপাট হয়েছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংকিং খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, উন্নয়ন প্রকল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে।২৯টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বড় প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির বিষয়গুলো উঠে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুস, করোনাকালীন স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি, এবং বড় মেগা প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি।৭টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এবং রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং, ব্যাংকিং খাত এবং অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের অপব্যবহার উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি এবং আইপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ অর্থের লোপাট হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।তিনি আরও বলেন, এই রিপোর্ট থেকে জাতি উপকৃত হবে এবং দেশে দুর্নীতির ব্যাপারে জনগণ সচেতন হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জানান, শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে অলিগার্কদের দ্বারা চামচা পুঁজিবাদ তৈরি হয়েছে, যা নীতি প্রণয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছে।এদিকে, প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিশ্লেষকরা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও দুর্নীতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

IPCS News : Dhaka :