সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

শীতের পোশাকের বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

আপডেটঃ ৫:৪০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৫, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে পৌষের শীত।গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ অনেক আগে থেকেই শুরু হলেও শহরেও এখন অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ।ফলে শীতের পোশাক কিনতে নগরীর বাজারগুলোতে ধুম পড়ে গেছে ক্রেতাদের।শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর ) নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে গরম কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে গেছেন নগরবাসী।বাজারের শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।শুধুমাত্র সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট নয় ফুটপাতেও শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা।আরডিএ মার্কেটের একটি সোয়াটারের দোকানে আলমগীর হোসেন নামের একজন ক্রেতাকে দেখা যায়।তিনি বলেন, আগামী মাসে বন্ধুদের সাথে সিলেট যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাই যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কেনা কাটা করতে বাজারে এসেছি।

আরেক ক্রেতা লাভলি বেগম বলেন,বাজারে এসেছি পরিবারের সকলের জন্য শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে।আরডিএ মার্কেটের গোল্ডেন টাচের মালিক মাসুম আহমেদ বলেন, শীতের বাড়া ও কমার ওপর আমাদের বিক্রি নির্ভর করে।শীত বাড়লে বিক্রির পরিমাণ বাড়ে তখন ক্রেতাও বেশি আসে।গত বছরের মতো এবারও বেচা কেনা বেশ ভালোই হচ্ছে।

বাজারের জনপ্রিয় দোকান রাজধানী গার্মেন্টেসের বিক্রেতা তন্ময়  সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, বিক্রি আগের বছরের তুলনায় অনেক কমে গেছে।গত বছর লকডাউনের আগে আমরা প্রতিদিন দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি কিন্তু এবার তার তিন ভাগের এক ভাগ হচ্ছে।শীতের প্রকোপ বেশি হলে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

ফুটপাতে এক বিক্রেতা মিলন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বেচা বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে।গতবার করোনার কারণে বেশি বিক্রি করতে পারিনি।এবার অনেক ভালো ব্যবসা করতে পারছি।শীত বাড়ার সাথে সাথে বিক্রিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।সেখানে নগরীর টুলটুলি পাড়ার বাসিন্দা শারমিন।জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চাদের শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। বাজারে যে ধরণের কাপড় পাওয়া যায় ফুটপাতেও একইরকম কাপড় পাওয়া যায়।

তবে তুলনামূলকভাবে এখানে দাম কম।আরেক ক্রেতা সুজন আলী বলেন, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভালো ভালো সোয়েটার ও জ্যাকেট কম দামে পাওয়া যায়।এছাড়া এখানে অনেকগুলো জিনিসের মধ্য থেকে বাছাই করে ভালো জিনিসটা নেওয়া যায়।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী প্রতিনিধি।