শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আপডেটঃ ৬:৫১ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ৩০, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
মস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না।জনগণ যদি তাৎক্ষণিক ইনফরমেশন দিতে পারে, তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না।দেশে সাইবার অপরাধ যেভাবে বাড়ছে তা ধারণার বাইরে।এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আমরা সেভাবেই আমাদের পুলিশকে তৈরি করছি। ৩০অক্টোবর শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১’ এর উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পৃথিবীর অনেক দেশই পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামবাংলায় ৫০-৬০ বছর আগের চিত্র দেখলে দেখা যায়, অভিযোগ করার ২/১দিন পরে হয়ত পুলিশ যেত।ঢাকা জেলার অনেক স্থানেও একই অবস্থা দেখা যেত।
তাহলে তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ হতো কীভাবে? তখন গ্রামের মাতব্বর, চেয়ারম্যানরা পুলিশের ভূমিকাটা পালন করত।পুলিশও তাদের কাছে গিয়ে সহযোগিতা নিত।এসব মাতব্বর ও চেয়ারম্যানদের কাছে গ্রামের সব খবর থাকত।তাদের থেকে ধারণা নিয়ে পুলিশ পদক্ষেপ নিত।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম।
কমিউনিটি পুলিশওএলাকার জনগনকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই-তা রুখে দিতে পারেে, আর তাই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি।ন্ত্রী বলেন, আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম।কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই-তা রুখে দিতে পারে।সেজন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও বড় আকারে করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরাই পুলিশ বাহিনীতে সাইবার ইউনিট গঠন করেছি।কিন্তু তার আকার টা ছোট।এই সাইবার ইউনিটকে আরো বড় আকারে করতে হবে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।আমাদের অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে।টেকনোলোজির ব্যবহার ভালো খারাপ দুটো দিকই আছে।আমাদের ভালো দিকটা বেছে নিতে হবে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিসম্প্রতি যে ধরনের উসকানি আসছিল, যেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে একটা ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, একটা বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারত।সে ঘটনাও আমাদের জনগণ ও পুলিশ মিলে প্রতিরোধ করেছে।আমরা সেই ভায়োলেন্স থেকে নিস্তার পেয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা সবাই ধর্মভীরু, আমরা যে যার ধর্মীয় উৎসব হৃদয় দিয়ে পালন করি, সেখানে আঘাত এসেছে।যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, আমাদের পুলিশ বাহিনী সেই এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আমরা বের করে নিয়ে এসেছি।জনগণও তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্হিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
IPCS News : Dhaka