সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রেলের উন্নয়ন বরাদ্দ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও, বাড়েনি সেবার মান

আপডেটঃ ১:৫৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- দেশ স্বাধীনের পর থেকেই অবহেলিত রেলের সেবার মান বাড়াতে ফি বছরই উন্নয়ন বরাদ্দ বেড়েছেই।গত পাঁচ বছরে এ খাতে উন্নয়নে খরচ হয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা।বিপুল অংকের বিনিয়োগের পরও লাইনের ঝুঁকি বিবেচনায় কমানো হয়েছে ট্রেনের গতি। শুধু তাই নয়, মেয়াদোত্তীর্ণ আর ফিটনেসবিহীন ইঞ্জিন দিয়েই চলছে যাত্রী পরিবহন।এছাড়া ৭০ শতাংশ রেল সেতুও ঝুঁকিপূর্ণ।গত ১০ বছরে রেলের উন্নয়নে খরচ হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।যা ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতুকেও।বিপুল বিনিয়োগের পরও দশ বছরে রেলের লোকসান সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।অথচ এখনও ৮০ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন আর ৬৩ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন দিয়েই চলছে ট্রেন।বিপুল পরিমানে বিনিয়োগের পরও ট্রেনের গতিও বাড়েনি একটুও।বরং অনেক রুটেই কমেছে ট্রেনের গতি।কোথাও কোথাও চালকদের ধীর গতিতে ট্রেন চালানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।

সেই ব্রিটিশ আমলেও ইঞ্জিন দিয়ে এখনও চলছে রেল, পাকিস্তান আমলের ইঞ্জিনও চলছে কোথাও কোথাও।মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ইঞ্জিনের মধ্যে কিছু কিছু আবার মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে।একদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন-দুই মিলিয়ে ট্রেনের গতি যেন লক্কর ঝক্কর বাসের মতো হেলেদুলে চলে।

১০ বছর আগে যাত্রীদের যে সব অভিযোগ ছিল তার একটুও কমেনি।যাত্রী সেবার মান বাড়েনি একটুও।এখনও ট্রেনের জন্য প্লাটফর্মে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।টিকিট যেন সোনার হরিণ।গাদাগাদি করেই বসতে হয় যাত্রীদের।এছাড়া ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে প্লাটফর্মে এসে অপেক্ষার প্রহর তো আছেই।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় মিলছে না সুফল।অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে রেল।অবকাঠামো উন্নয়ন, যাত্রীদের সেবায় কোনো উন্নয়ন নেই।এখানেই রেলওয়ে ভুল করে যাচ্ছে।তবে, রেলওয়ের উন্নয়ন হয়নি একথা বলতে নারাজ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা।

তারা বলছে রেলের সামর্থ্য অনুযায়ী এই খাতকে স্বাবলম্বী করতে স্বল্পমেয়াদী থেকে নেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।রেল সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।বর্তমানে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে দাবি রেল কতৃপক্ষের।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।