সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রামেক হাসপাতালের বেডে তেলাপোকার রাজ্য

আপডেটঃ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৫, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের সুবৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক)।এই হাসপাতলে প্রায় প্রতিদিন দক্ষিন ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে ভালো চিকিৎসা ও সেবা পাওয়ার জন্য।এরইমধ্যে এই হাসপাতালে বিভিন্ন নতুন নতুন চিকিৎসা যন্ত্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও এখনও হাসপাতালের বেশ কয়েকটি পুরনো ভবন রয়েছে।যা নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালের দিকে তা এখন বেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও অস্বাস্থ্যকর।এরফলে এই ওয়ার্ডগুলো তেলাপোকা, ইঁদুর, টিকটিকিসহ বিভিন্ন পোকার বাস।ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে।বুধবার (৫জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে হাসপাতালের ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ ওই ভবনের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে দেওয়া বেড সিটের নিচে অসংখ্য তেলাপোকা বাসা বেধেছে।

খাবার থেকে মেঝে সবখানে বলা যায় তেলাপোকার এক রাজ্য।এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনদের প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে।শুধু তাই নয় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন রোগী ও স্বজনদের তেলাপোকা কামড়ও দিয়েছে।ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে ছেড়েছে হাসপাতাল।গত কয়েক দিন আগে জসীম উদ্দীন নামে এক ব্যাক্তি তার ছেলেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে এসেছিলেন।

কিন্তু তেলাপোকায় অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে ছেড়েছেন হাসপাতাল।তিনি বলেন, পুরো হাসপাতালই এখন তেলাপোকার রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমনকি আমার বাচ্চা ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করলে তার চোখে তেলাপোকা কামড় দেয়। লে বাধ্য হয়ে ছাড়ি হাসপাতাল।

সেলিনা নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, যে বেডে অসুস্থ রোগী রাখা হয়েছে সেখানে যদি তেলাপোকা থাকে তাহলে মানুষ কিভাবে সুস্থ হবে।বিশেষ করে রাতের বেলায় রোগী ও তার স্বজনরা ঘুমাতে গেলে তেলাপোকা কান মুখে ঢোকার চেষ্টা করে।এতে আমরা বেশ আতঙ্কিত।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, হাসপাতালের প্রায় ২৫টির মত ওয়ার্ডে তেলাপোকায় অতিষ্ঠ রোগী ও তাঁর স্বজনেরা।এরইমধ্যে আমরা তেলাপোকা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।কিন্তু পারছি না।

কারণ ওইসকল ওয়ার্ডে রোগীরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তেলাপোকা নিধন করতে গেলে বিষ জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।এজন্য রোগীদেরও অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে হবে।যা খুবই ডিফিকাল্ট ।অচিরেই আমরা কোন বিকল্প ব্যবস্থা নিব।’

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।