সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রামেকে হাসপাতালে ডায়ারিয়ায় রোগীর চাপ, ওয়ার্ডে পা ফালানোর জায়গা নাই

আপডেটঃ ২:৩৪ অপরাহ্ণ | মার্চ ৩১, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহী নগরীর দরিখরবোনা এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন স্ত্রী রোজিনা আক্তার সাথীর গত সোমবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ পাতলা পায়খানা শুরু হয়।এর পর সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ডায়েরিয়া হিসেবে।উপায়ন্তর না পেয়ে আমজাদ রাতেই হাসপাতালে খোঁজ-খবর নেন।কিন্তু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপে কোথাও পা ফালানোর জায়গা নাই বলে জানতে পারেন।এর পর তিনিএকজন চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে সেবিকা ডেকে (নার্স) ডেকে নিয়ে স্ত্রীর শরীরে সেলাইন পুশ থেকে শুরু করে যাবতীয় চিকিৎসা সেবা শুরু করেন।আমজাদ বলেন, ‘হাসপাতলে গিয়ে দেখি রোগীর ভিড়ে মেঝেতেও জায়গা নাই।তাই বাধ্য হয়ে বাসায় রেখেই স্ত্রীর ডায়েরিয়া রোগের চিকিৎসা করছি।হঠাৎ গরমের কারণে হয়তো সে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালের ১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপে নতুন রোগীকে জায়গা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।ওই ওয়ার্ডে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ১৩৬ জন রোগী ছিল।যাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক রোগী ডায়েরিয়া আক্রান্ত ছিল।এদের বয়স ৩ থেকে ৮ বছরের মধ্যে। গতকাল নতুন ভর্তি হয়েছে ৩৯জন।

এর মধ্যে ১৪ জনই ডায়েরিয়া আক্রান্ত।রোগীর স্বজন নাজমুল হুদা বলেন, শিশু ওয়ার্ডে এতো বেশি রোগী যে পা ফেলানো জায়গা নাই।এর মধ্যে অনেকেই ডায়েরিয়া আক্রান্ত।বেশিসংখ্যাক রোগীর কারেণ চিকিৎসাও তেমন ভালো হচ্ছে না।নার্সরা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড-১৪ নম্বরেও ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীদের চাপ ছিল বেশি।

ওই ওযার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন সামিয়া ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে রোগী নিয়ে আছি।হঠাৎ পাতলা পায়খানার কারণে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।ডায়েরিয়া আক্রান্ত তাই হাসাপাতালের সিট দেয়নি।মাঝিতে (মেঝেতে) চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।ওয়ার্ডের বাইরে ফ্যানও নাই।গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে হাসপাতালের মেডিসি,ন বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুব রহমান বাদশা বলেন, হঠাৎ গরম ও ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।তবে আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।