রাজশাহী মেডিকেলে ডায়রিয়া রোগীর শয্যা সংকট
আপডেটঃ ১:৩৮ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৩, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী : আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারনে রাজশাহীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই আছে।গত এক সপ্তাহের মধ্যে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে।ফলে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীর জন্য শয্যা সংখ্যা সংকুলান হচ্ছে না।ফলে এক রকম বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে মানুষের চলাচলরত রাস্তার মেঝেতে থাকছেন রোগীরা।জানা গেছে, গত একমাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক হাজার ৬৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা শয্যা পাচ্ছেন না।ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতেও তাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।ভ্যাপসা গরমে রোগীদের চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।তারা বাসা কিংবা বাজার হতে হাতপাখা কিনে নিজেদের গরম হতে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
রামেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ এখানে ২২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।এরপর ৬ তারিখ পর্যন্ত যথাক্রমে ২৭, ২৮, ২৬, ২০ ও ২৬ জন রোগী ভর্তি হন।৭ মার্চ ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জন হয়।এরপর ১৬ মার্চ পর্যন্ত যথাক্রমে ৩১, ৩৯, ৩৮, ৩৪, ৩০, ৪০, ৪৩, ৪৮ ও ৪৫ জন করে রোগী ভর্তি হন।
এরপর ১৭ মার্চ একদিনে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ৫০ জন ছাড়ায়। ১৭ ও ১৮ মার্চ ভর্তি হন ৫২ জন করে রোগী।১৯ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন যথাক্রমে ৫৮, ৬২, ৫৯, ৭২, ৮০ ও ৮২ জন ভর্তি হন।২৫ মার্চ রোগী বেড়ে হয় ৯০ জন।এরপর ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোজ ভর্তি হন যথাক্রমে ৮৮, ৯৯, ৭৪, ৯৩, ৬১ ও ৭৮ জন।
গোটা মার্চ মাসে রামেক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হয় এক হাজার ৬৩৫ জন।হাসপাতালে ভর্তিরত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশুদের হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হলে পানিশূণ্য হয়ে পড়ছে শরীর।তাতে অল্প সময়ে প্রকট আকার ধারন করছে।২৪ ঘণ্টায় পাঁচটা স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।তাও কমেনি।
স্যালাইনের স্ট্যান্ড ধরেই একটু পর পর বাথরুমে নিয়ে যেতে হচ্ছে।পরে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।অপর এক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুদিন আগে বাইরে শুধু চটপটি খেয়েছিলেন তাতেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়।এর পরই উন্নত চিকিৎসার তিনি ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালে রোগীদের শয্যা না হওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ও অভিভাবকদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নার্সদের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে।রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান বাদশা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম এসেছে।এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে।
বাইরের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে তারা পানিবাহিত এই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, মার্চের মাঝামাঝি থেকে রোগী খুবই বেশি হচ্ছিল।দু’একদিন ধরে একটু কমছে।রোগী আরও বাড়বে নাকি কমবে তা বলা যাবে না। তবে চিকিৎসার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।