সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহী মহা-নগরীতে হত্যা-কাণ্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতার

আপডেটঃ ৭:২২ অপরাহ্ণ | জুন ১৬, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

আরএমপি নিউজঃ রাজশাহী মহা-নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা এলাকায় এক যুবককে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনা ঘটে।১২ ঘন্টার মধ্যে লাশ উদ্ধার-সহ দুই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো মোসা: মেরিনা খাতুন (২১), সে রাজশাহী মহা-নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার মো: একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে এবং অপর আসামি মোসা: নেশা খাতুন (২২), সে মো: ঈশা হকের মেয়ে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের মো: জহির মন্ডলের ছেলে মো: রশিদুল মন্ডল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।সে মাঝে মাঝে ধান কাটা-সহ অন্যান্য কাজের জন্য রাজশাহীতে আসতো।এই সুবাদে প্রায় এক বছর আগে আসামি মেরিনা খাতুনের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

মেরিনা খাতুন সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহ-কর্মীর কাজ করতো।গত ১৪ জুন ২০২২ রাতের রশিদুল সায়েরগাছার বুলবুলের বাড়ীতে মেরিনার সাথে দেখা করতে যায়।সেখানে মেরিনা কথা-বার্তার একপর্যায়ে রশিদুলকে বিয়ের কথা বলে।রশিদুল পরিবারের সাথে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায়।

কিন্তু মেরিনা রাতেই বিবাহ করার জন্য চাপ দেয় ও জোর জবর-দস্তি করতে থাকে।রাত ১১ টায় রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাঁধা দেয় এবং উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়।একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ৭ টায় মেরিনা অপর আসামি নেশা খাতুনকে সেখানে ডেকে দুইজন মিলে মৃতদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর-রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে।

পরবর্তীতে কাশিয়াডাঙ্গা রাজশাহী মেট্রো-পলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) জনাব বিভূতি ভুষণ বানার্জীর তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) জনাব মো: শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ জনাব এসএম মাসুদ পারভেজ, এসআই মোসা: মোস্তারি জাহান ও তার টিম গতকাল ১৫ জুন ২০২২ সকাল পৌনে ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি হতে আসামি মেরিনাকে আটক করেন।

আটককৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর-রুম হতে রশিদুলের মৃত দেহ উদ্ধার হয় এবং অপর সহযোগি আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেফতার করে।মৃত-দেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

IPCS News : Dhaka : আরএমপি নিউজ : রাজশাহী।