রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত কমিটি হলেও হয় না কোন প্রতিবেদন
আপডেটঃ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল থেকে বের করে দেওয়া, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শিক্ষার্থী নির্যাতনের এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত কমিটি গঠন হয়।কিন্তু সে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় শুধুমাত্র ভুক্তভুগী এবং ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য।কোন কোন ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠনের আগেই ধামাচাপা পড়ে যায় আবার কোনটার তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তদন্ত করার প্রয়োজন মনে করেন না কমিটি।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অন্তত ৪২টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩টি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬টির।তবে কোনো ঘটনায় ছাত্রলীগের কাউকে শাস্তির আওতায় আনেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দু-একটি ঘটনার বিচার হলেও সেগুলো ছিল সাময়িক।সর্বশেষ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কৃষ্ণ রায় নামের এক ছাত্রকে হলকক্ষে আটকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাইম আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানসহ ছাত্রলীগের সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কৃষ্ণ রায়।অভিযোগে হল থেকে বের করে দিতে নির্যাতনের পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।নির্যাতন ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম।
এ ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হল থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।তার পরদিন থেকে তদন্তের কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তদন্ত কমিটি এ ঘটনা তদন্তে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে।
সরকারি ছুটি থাকলেও তিন কার্যদিবস শেষ হয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তদন্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির সবাইকে নিয়ে আমরা বসেছিলাম কিন্তু আমাদের যিনি কনভেনার উনি একটু ছুটিতে ছিলেন এ কারণে তারা প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
উনারা আমার কাছে ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু জমা দেননি।তিনি আরও বলেন, ভুক্তভুগীর সাথে আমরা কথা বলেছি কি কি ঘটেছে সব শুনেছি এবং অপরাধীকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে কিন্তু তার থেকে কোন সাড়া পাইনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কৃষ্ণের কাছে কেউ তদন্তের জন্য এসেছিল কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমার কাছে কেউ আসেনি এবং ফোন ও করেননি আমিই বরং নিজে গিয়ে প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা বলেছি।আমি যাওয়ার পর স্যার আমার কাছে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেছে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশহী।