সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহী জেলা ডিবি কর্তৃক ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড় জব্দ, ০৭ জন গ্রেফতার

আপডেটঃ ৪:২৮ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

গত ১৩-০২-২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ টার সময় রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ রুহুল আমিনসহ একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানাধীন আড়ানী চকরপাড়া গ্রামে একটি ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরির কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড়, ভেজাল গুড় তৈরির বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী জব্দ করাসহ কারখানার মালিকসহ ০৭ জন ব্যক্তিকে আটক করেন।আটককৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, কারখানার মালিক ১।মোঃ রকিব আলী (৪২), পিতা-মৃত আবুল হোসেন ও তার সহযোগী ২।মোঃ সুমন আলী (৪২), পিতা-মোঃ আকবর আলী, ৩।মোঃ অনিক আলী @ পাইলট (৩০), পিতা-মৃত মাজদার রহমান।

৪।মোঃ মাসুদ রানা (৩০), পিতা-মোঃ মোসলেম, ৫।মোঃ বিপ্লব হোসেন সাজু (২৫), পিতা-মোঃ আঃ হান্নান, ৬।মোঃ মামুন আলী (২৭), পিতা-মোঃ ওহাব আলী ও ৭।মোঃ বাবু (২৫), পিতা-মোঃ ওহাব আলী, সর্ব সাং-আড়ানী চকরপাড়া, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহী।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিগণ জানান তারা পরস্পর যোগসাজসে ২-৩ মাস যাবৎ উক্ত কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকেরি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করে আসছে।

তারা এগুলো রাজধানী ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকে।গুড় তৈরির ক্ষেত্রে তারা যে সকল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সেগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় বাঘা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-সি(১)(এ)/২৫-ডি ধারা মামলা রুজু হয়েছে যার মামলা নং-১২ তারিখ ১৩-০২-২০২২ খ্রিঃ।আটককৃত ব্যক্তিদের সাথে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।এ বিষয়ে আজ দুপুর ১২.০০ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম(বার) প্রেস ব্রিফিং করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু সালেহ মোঃ আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( জেলা বিশেষ শাখা ) সনাতন চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর ) মোঃ ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) অলক বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার ( জেলা বিশেষ শাখা ) রুবেল আহমেদ ও সহকারী পুলিশ সুপার ( এসএএফ ) নিয়াজ মেহেদী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জব্দকৃত আলামতের বিবরণঃ-১।গুড় ভর্তি ৫৮টি ক্যারেট। প্রতিটি ক্যারেটের গুড় সহ ওজন ৩৫ কেজি করে সর্বমোট (৫৮দ্ধ৩৫)=২,০৩০ কেজি।মূল্য অনুমান (২,০৩০দ্ধ১২০)=২,৪৩,৬০০/- টাকা।

২।১০ বস্তা চিনি।প্রতিটি বস্তা সাদা প্লাষ্টিকের তৈরি, যার গায়ে দেশবন্ধু চিনি সহ অন্যান্য লেখা আছে। যার ওজন (৫০দ্ধ১০)=৫০০ কেজি।মূল্য অনুমান (৫০০দ্ধ৭৫)=৩৭,৫০০/-টাকা।

৩।একটি সাদা প্লাষ্টিকের তৈরি বস্তার মধ্যে রক্ষিত ফিটকিরি।যার ওজন ১৮কেজি।মূল্য অনুমান (১৮দ্ধ৩০)=৫৪০/-টাকা।

৪।একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তার মধ্যে রক্ষিত চুন।যার ওজন ২৫ কেজি।মূল্য অনুমান (২৫দ্ধ৩৫)=৮৭৫/-টাকা।

৫।একটি সাদা পলিথিনের মধ্যে রক্ষিত ডালডা।ওজন ৬০০ গ্রাম।মূল্য অনুমান ১৫০/-টাকা।

৬।একটি সাদা পলিথিনের মধ্যে রক্ষিত হাইড্রোজ।ওজন ০১ কেজি।মূল্য অনুমান ৩০০/-টাকা।

৭।প্লেনসীটের তৈরি গুড় বানানোর তাওয়া ০২টি।মূল্য অনুমান (৫,০০০দ্ধ২)=১০,০০০/-টাকা।

৮।একটি মাটির চাড়ি।মূল্য অনুমান ২০০/-টাকা।

৯।কাঠের তৈরি গুড় নাড়ার পাঠ ০২টি।মূল্য অনুমান ৫০০/-টাকা।

১০।গঊএঅ ডিজিটাল ওয়েট মেশিন ০১টি।মূল্য অনুমান ৫,০০০/-টাকা।

১১।মাটির তৈরি শরা/বাটি ৭০০টি।মূল্য অনুমান (৭০০দ্ধ১০)=৭,০০০/-টাকা।

উদ্ধারকৃত মালামালের সর্বমোট মূল্য =৩,০৫,৬৬৫/টাকা।

IPCS News : Dhaka : মোঃ ইফতে খায়ের আলম
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর : রাজশাহী।