রাজশাহী কারা হাসপাতালে অনিয়মই নিয়ম,টাকা দিলেই মেলে সুবিধা
আপডেটঃ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | মার্চ ২০, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার।এই কারাগারের ভেতরের হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কারা হাসপাতালে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।দায়িত্বপ্রাপ্তদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলেই মেলে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা।কর্তৃপক্ষ অনিয়মের অভিযোগ জেনেও না জানার ভান করে থাকে।কর্তৃপক্ষের গাফেলতি ও অবহেলার কারণে বছরের পর বছর ধরেই জিইয়ে রয়েছে নানা অনিয়ম।আর এর মাশুল গুণতে হচ্ছে অসহায় ও নিম্নবিত্ত পরিবারের হাজতি ও কয়েদীদের।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে কোনো হাজতি ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করলেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতালে পান বেড।হাসপাতালের বেড পেতে হলে অসুস্থ হওয়া জরুরী নয়।কোনো নিয়ম বা বিধি অনুসরণেরও প্রয়োজন নেই।অর্থাৎ টাকা দিলেই হাজতিদের দেওয়া হয় বেড।আর অসুস্থ হাজতিরা কম্বল বিছিয়ে থাকেন মেঝেতে।কনকনে শীতেও তারা বেড পান না।
সূত্রটি আরো জানায়, সপ্তাহে দুইদিন সিনিয়র জেলসুপার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।তখন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অচল, বৃদ্ধ, রুগ্ন ও অসুস্থ হাজতিদের এনে মেডিকেলের ড্রেস পরিয়ে বেডে বসানো হয়।আর সুস্থ হাজতিদের বেড থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সাধারণ ওয়ার্ডে।তবে এসব অনিয়ম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সিনিয়র জেলসুপারের পরিদর্শনের আগেই কয়েদী ইনচার্জ (সিও ম্যাড), রাইটার, সেবক এবং ফার্মাসিস্টরা অসুস্থ হাজতিদের কিছু কথা শিখিয়ে দেন।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সিনিয়র জেলসুপার জিজ্ঞাসা করলেই বলতে হবে আমি এই বেডেই থাকি।খাওয়া, চিকিৎসা ভাল হচ্ছে।আমার কোন অসুবিধা নেই।সূত্রটি বলছে, যতই শিখিয়ে দেয়া হোক না কেন, সিনিয়র জেলসুপার ঠিকই জানেন যে, এ ধরণের অনিয়ম এখানে অহরহই ঘটে।যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।সিনিয়র জেলসুপারের পরিদর্শন শেষে আবার সুস্থ হাজতিদের বেডে ফিরিয়ে আনা হয়।
কারা হাসপাতালে থাকা, খাওয়া, গল্প করা, গোসল করা, আড্ডা দেওয়া, তাস খেলা, টিভি দেখাসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সব সুবিধাই মেলে এখানে।কারা হাসপাতাল যেন টাকা ওয়ালা হাজতি-আসামিদের (প্রতারক, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারীসহ নানা অনৈতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত) থ্রি স্টার বা ফাইভ স্টার হোটেল।আবার কোনো কোনো হাজতিকে ব্যাডমিণ্টন খেলার সুযোগ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী।