সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহী কলেজের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত

আপডেটঃ ১২:০৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৫, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে রাজশাহী কলেজ।মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পনা করে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার(১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানে শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। সভার মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকার।

এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কলেজের বিভিন্ন বর্ষ ও বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।সভায় সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী।সভার সভাপতি এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী বলেন- অনেক ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।

তিনি ১৪ই ডিসেম্বর নিহত শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তরুণ প্রজন্মকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে ধারণ করে দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. শিখা সরকার তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর নিহত বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্ম আলোচনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন-পাকিস্তানি হানাদাররা তালিকা করে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন আমাদের ভবিষ্যত, আমাদের নতুন স্বপ্ন যখন হাতের কাছে তখনি বিপর্যস্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে।তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সকলকে আহ্বান জানান।

অধ্যক্ষ মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন- এদেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চের কালো রাত থেকেই।মূলত সেদিন থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু হয়।বাংলাদেশ যেন কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে এজন্য পাকিস্তানিরা এদেশে তাদের দোসর আল-বদর, আল-সামসদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে ১৪ ডিসেম্বর নির্মমভাবে হত্যা করে।

তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে উপস্থিত সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান পরে ১৪ই ডিসেম্বর নিহত শহিদ বুদ্ধিজীবী, মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কমনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।

IPCS News : Dhaka :