রাজশাহীর বিলকুমারী বিলে বোরো ধান রোপনে ব্যাস্ত কৃষকরা
আপডেটঃ ৮:২৩ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- রাজশাহীর তানোরে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিল কুমারী বিলের ধারের জমিতে বোরো ধান লাগানো শুরু করেছে কৃষকরা।বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল পাড়ের কৃষকরা প্রতিবছরই বিলের জমিতে আগাম বোরো রোপন শুরু করেন।এবছরও প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিল কুমারী বিলের জমিতে আগাম বোরো রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা।
গত ১ সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকরা বিলের ধারের জমিতে বোরো রোপন শুরু করেছেন।কৃষকরা বলছেন,বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল কুমারী বিলের জমিতে তারা আগাম বোরো রোপন করেন।বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই কৃষকরা শুরু করেন বীজতলা তৈরির কাজ এবং তৈরি করতে শুরু করেন জমি
এবছরও বিলের পানি নেমে যাওয়ায় গত ১ মাস আগে থেকেই কৃষকরা বোরো বীজ তৈরি শুরু করেন এবং অনেক কৃষক গত ১ সপ্তাহ আগেই তাদের জমিতে বোরো রোপন শুরু করেছেন।বর্তমানে বেশীর ভাগ কৃষকের বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠায় জমি তৈরিতে ব্যস্থ্য কৃষকরা।
জেলার তানোর মোহনপুর উপজেলার সীমান্তের বিল কুমারী বিল পাড়ের গ্রাম কামারগাঁ, তালন্দ, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবির পাড়া, কুঠিপাড়া, হলদার পাড়া, আমশো, বুরুজ, মেলান্দী, বেলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পানি নেমে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকদের বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
ফলে, কিছু কিছু কৃষক তাদের জমিতে ১ সপ্তাহ আগে থেকেই বোরো রোপন শুরু করেছেন এবং কিছু কিছু কৃষক বর্কমানে বোরো রোপন করছেন।অপর দিকে বেশীর ভাগ কৃষকেরই বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠায় জমিতে সেচ দিয়ে চাষ করতে ব্যাস্থ্য সময় পার করছেন।ধানতৈড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এবছর তিনি বিলের ধারের ২বিঘা জমিতে বোরো করেছেন।
কিন্তু প্রচন্ড শীতের কারনে ধানের শিকড় গজাতে একটু দেরি হলেও সমস্যা হবেনা।তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে আগাম বোরো রোপন করছেন।আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বিল পাড়ের জমিগুলো প্রায় বোরো রোপন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।এ লক্ষ নিয়েই কৃষকরা পুরো দমে জমিতে সেচ ও চাষের কাজ করছেন।
ফলে বিল পাড়ের জমিতে বোরো চাষের জন্য ব্যস্থ্য সময় পার করছেন কৃষকরা।তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর সাড়ে ১২হাজার হেস্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।এর মধ্য বেশীর বাগ বোরো চাস হচ্ছে বিল কুমারী বিলের জমিতে।উপরের জমিতে অল্প সংখ্যক বোরো চাষ হলেও বেশীর ভাগ জমিতে হয়েছে আলু চাষ।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।