রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস, মাছসহ সয়াবিন তেলের দাম
আপডেটঃ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | মে ২১, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস, সয়াবিন তেলসহ সব রকমের মাছের দাম।গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিতে।গরুর মাংস কিনতে আসা সাজ্জাদ জানান, কোরবানি ঈদের আগে আর গরুর মাংস হয়তো খেতে পারবো না।প্রতি সপ্তাহে যেন এটা একটা নিয়ম হয়ে গেছে দাম বাড়ানো।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ আয় বাড়ছেনা কিন্তু দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়তই আছে।এভাবে চলতে থাকলে হয়তো গরুর মাংস প্রতি কোরবানি ঈদ ছাড়া খাওয়া সম্ভব হবেনা আমাদের মতো পরিবারের।গরুর মাংস বিক্রেতা শুকুর আলী জানান, হাটে যে গরু ৫০ হাজার টাকায় কিনেছি সেটা এখন ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।আমাদের বাস্তবেই কিছু করার নাই কারণ আমরা বেশি দাম দিয়ে কিনে কি করে জনগনকে কম দামে দিব।
জনগন আমাদের সাথে এসে ঝামেলা করছে আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলছি কিন্তু আমরা হাটে কিছু বলতে গেলে ব্যবসায়ীরা বলছেন গরু নিতে হবেনা আপনাকে নেওয়ার অনেক পাটি আছে।আমরা মাংস বিক্রেতারা অসহায় হয়ে পরেছি।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা এবং খোলা তেল ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা।সয়াবিন তেল কিনতে আসা সুলতানা খাতুন জানান, কিছু বলার নাই আমরা মনে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি।প্রতি সপ্তাহে এসে কিছু না কিছুর দাম বেশি আছেই।
মনে হচ্ছে যে আয় তা দিয়ে মাসে একবার তেল কিনতে পারবো কিনা তা সন্দেহ।এভাবে চলতে থাকলে মানূষ একসময় না খেয়ে মারা যাবে।মুদি ব্যবসায়ী রানা জানান, তেলের দাম বেড়েছে কারণ ৫ লিটারের বোতল তেল বাজারে সংকট কম্পানি থেকে দিচ্ছেনা।তাছাড়া খোলা তেলের দামও বেড়েছে।
এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে রাজশাহীর বাজারে সব রকমের মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।কার্প জাতীয় যেসকল মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগের সব রকমের মাছে ২০-৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়া নদীর ও পুকুরের যেকল মাছ রয়েছে সে গুলো কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।মাছ কিনতে আসা পূরবী রায় জানান, মাছের বাজারে মনে হচ্ছে আগুন লেগে গেছে।
প্রতি কেজি মাছে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েং এবং কার্প জাতীয় যেসকল মাছগুলো রয়েছে সেগুলো কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেশি।মাছ কিনতে এসেছি পুরো মাসের এখন দেখছি যে বাজেটে করে টাকা নিয়ে এসেছি ১০ দিনের মাছও কিনে বাসায় নিতে পারবোনা।কতৃপক্ষের এ বিষয় গুলোতে নজর দেওয়া দরকার বলে আমি মনে করছি।
মাছ বিক্রেতা নজরুল জানান, ঝড় বৃষ্টির কারণে মাছ আসতে পারছেনা তাই এ সপ্তাহে মাছের আমদানি কম থাকায় দামটা বেশি।আমরা বেশি দাম নিচ্ছিনা।বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে তারপরেও চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছেনা।তাছাড়া শুক্রবারে মাছের দামটা একটু বেশি থাকে।এ সপ্তাহে বাজার ঘুরে লক্ষ করা গেছে প্রতিটি সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০-২০ টাকা কম।
পূর্বের মূল্যে এ সপ্তাহে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ এবং ৩২ টাকা হালিতে।গত সপ্তাহের দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা ও দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।এছাড়া এসপ্তাহে মুদি পণ্য-সামগ্রী ও অন্যান্য পন্যের দাম সিস্থিশীল রয়েছে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।