সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহীর বাজারে উর্ধ্বগতি মুরগি-ডিম ও মাছের দাম, কমেছে সবজির

আপডেটঃ ১২:৪২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগি, ডিম ও মাছের দাম।এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম।৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে মহানগরীর সাহেব বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার।এদিন সকাল থেকেই রাজশাহীর বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে দেখা যায় ক্রেতাদের অধিক আনাগোনা।ছুটির দিন হওয়ায় বাজারে আসেন সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীরা ও শ্রমিক মজুরেরা।সে অনুযায়ী বাজারে বিক্রেতাদেরও উপস্থিতিতে বাজার থাকে সারগম।বাজার ঘুরে দেখা গেছে কত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কমেছে সকল ধরনের সবজির দাম।দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা, পেয়াজ কেজিতে ২ টাকা কমে ৩০ টাকা, বাঁধা কপি ও ফুল কপি কেজিতে প্রায় ৮-১০ টাকা কমে ১০-১২ টাকা, দেশী শসা কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, ও টমেটো ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মুরগি-ডিম ও মাছের দাম।ডিম গত সপ্তাহের থেকে হালিতে ৪ টাকা বেড়েছে।সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায় এবং লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে।সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়ে গেছে প্রায় ২৫-৩০ টাকা।পোল্ট্রি মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা কেজি।আজকের শুক্রবারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।

এছাড়াও সোনালি মুরগি ২৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুুরগি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দেশী মুরগি ৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে মাছের দামও বাড়তি দেখা গেছে।প্রায় প্রতিটি মাছ কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বড়তি।টেংরা মাছ গত সপ্তাহে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

শিংমাছ ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়।পাবদা ৩৫০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা।রুই মাছ ২৩০ থেকে বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি।ছোট ইলিশ ৫০০ টাকা কেজি।রুপচাঁদা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।৬ কেজি ওজনের কাতল ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ৪৫০ টাকা ছিলো।

এছাড়া ৮ কেজির বোয়াল ও চিতল মাছ ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।অপরিবর্তিত আছে মিরকা মাছ।প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।তেলাপিয়া, আইড় মাছ রয়েছে অপরিবর্তিত।গরুর মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কোন কোন বিক্রেতা দাম না বাড়িয়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছে বলে জানান তারা।

খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা কেজি দরে।হাটে গরুর আমদানি কম থাকায় দাম বেশী হচ্ছে বলে জানান মাংস বিক্রেতারা।চিনি ১১০ টাকা এবং দেশী চিনি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।মসুর ডাল ১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।

আটাশ চাল প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকায়।জিরা ৭০-৭২ টাকা।স্বর্ণা নতুন ৫২ পুরাতন ৫৬ টাকা।বাসমতি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্তমানে সব কিছুর দামই বাড়তি।কারো কিছুর করার নাই তাই সবকিছু মেনে নিয়েই আমাদের ক্রয় বিক্রয় করতে হচ্ছে।

তবে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে আসলে সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।তবে নিজেদের আয় না বাড়ায় দিন চলে যাচ্ছে ধুকে ধুকে।এসব বাড়তি গতির জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন ক্রেতারা।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।