রাজশাহীর জুলেখা দুর্জয় প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ
আপডেটঃ ১১:৪১ অপরাহ্ণ | মার্চ ১১, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- রাজশাহীতে দীর্ঘ সময় প্রতারণার ফাঁদ পেতে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া জুলেখা, দুর্জয়, তাবাসুম চক্রের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি তুলে লিখিত আবেদন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব।২৯ শে ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত আবেদনটি করেন রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের পক্ষে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তর থেকে জরুরি ভাবে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আস্বাস দেওয়া হয়।রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাফিকুর রহমান লালু জানান গত ফেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখে প্রতারক চক্রের জুলেখা প্রেস ক্লাবে এসে জানান রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার জামালপুর এলাকার দুর্জয় তাবাসুম চক্র তার সাথে প্রতারণা করেছে।
প্রতারক দুর্জয়ের একই সাথে চারটি স্ত্রী রয়েছে।দুর্জয় সেই সকল স্ত্রী দের দিয়ে উচ্চ শ্রেনির মানুষদের ব্লাক মেইল করে থাকেন।কিছুদিন পুর্বে ফারিয়া নামের এক মেয়েকে ফাঁসাতে গিয়ে এক সময় ধরা পড়ে ধোলাই খেয়ে মোটা অংকের জরিমানা দিয়ে এখন ভিন্ন ভাবে প্রতারণা করছে দুর্জয় চক্র।
জুলেখার এমন তথ্যের সত্যতা যাচাই অনুসন্ধান কালে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট উঠে আসে দুর্জয় সত্যিকারের একজন ভয়ংকর প্রতারক।সেই সাথে জুলেখা ও এই চক্রের সদস্য সম্প্রতি টাকা পয়সা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্রকরে তাদের মাঝে বনি বনা না হওয়ার কারনে জুলেখা এখন তাদের অপকর্ম প্রকাশ করতে চাইছে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জুলেখার পুর্বের তিনটি স্বামী জুলেখার অপকর্মের কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে।২য় স্বামীর ঘরের একটি সন্তান ও রয়েছে সেই সন্তানের কথা জুলেখা অস্বীকার করে থাকেন।জুলেখার ২য় স্বামী পুঠিয়ার একজন যুবলীগ নেতার অনুরোধে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে (রাসিকে) অস্থায়ি ভিত্তিতে চাকরি হয় সেখানে রাসিকের এক কর্ম-কর্তাকে ফাঁসাতে গিয়ে সেই চাকরি চলেযায়।
এরপর নিজের প্রতারণা ঠিক রাখতে দুর্জয়কে ৪র্থ বারের মত বিয়ে করেছেন সেটিও লোক সমাজে গোপন রাখেন রহস্যময়ী এই জুলেখা।অপর দিকে প্রতারক দুর্জয় ও থেমেনেই নারী আর অর্থো লোভী খেলায়, ফারিয়া, তন্নী, তাবাসুম, তিন স্ত্রী থাকার পরেও জুলেখাকে ৪র্থ স্ত্রী হিসেবে তার প্রতারণার সিন্ডিকেটে স্থান করেদেন।
চন্দ্রিমা থানার জামালপুরে দুর্জয়ের নিজের সহ একাধিক ভাড়া বাড়ি রয়েছে।সেই সকল বাড়িতে তাবাসুম, তন্নী, জুলেখা, ফারিয়া এমন ৪টি স্ত্রী রয়েছে।এদের সাথে মাঝে মধ্যে যোগ হয় নতুন কিছু মেকাপ সুন্দরী যুবতী।প্রশাসনের দুই একজন অসাধু নারী লোভী কর্মকর্তা এই সকল নারীদের প্রতি দুর্বল হয়ে মাঝে মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মত ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
ভদ্রা জামালপুরের স্থানীয় যুবক, জয় বিজয় সহ একাধিক মানুষ এদের অসামাজিক কর্মকান্ডের কারণে ক্ষিপ্ত।এই চক্রের অপকর্ম বন্ধ সহ তাদের শিঘ্রই গ্রেপ্তারের দাবি তুলে জামালপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি গণ মাধ্যমের নিকট সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।জুলেখা, দুর্জয়, তাবাসুম,ফারিয়া চক্রের অপকর্ম নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারী একটি সংবাদ প্রকাশ করেন অনলাইন পত্রিকা সংবাদ চলমান।
পরে আরো তথ্য বেরিয়ে আসলে ২১ফেব্রুয়ারী অনলাইন জাতীয় সহ কয়েকটি পত্রিকায় আবারো সংবাদ প্রকাশ হয় এই চক্রের রহস্যময়ী কাহিনী নিয়ে।সংবাদ প্রকাশের পর ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় প্রতারক দুর্জয় তার দুই স্ত্রী জুলেখা ও তাবাসুম কে দিয়ে চন্দ্রিমা ও মতিহার থানায় নাটকীয় মামলা দায়ের করেন।
দুটি মামলার বাদি ও সাক্ষী পর্যায় ক্রমে দুর্জয়ের স্ত্রী ও দুর্জয়ের মা।এমন রহস্যময়ী মামলা আর এম পির দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তাগণ অবগত হন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আর এম পির পুলিশ কর্মকর্তা বলেন এই চক্র আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়ে গেছে শীঘ্রই এর প্রতিফলন ঘটবে।
তিনি বলেন এই চক্রের সাথে যোগ হয়েছে রাসিকের মেয়রের গাড়িতে হামলা কারি একটি চক্র সেই চক্রের উপর পুর্বে থেকেই কঠোর নজর দারি করছেন রাসিকের পরিক্ষিত সফল মেয়রের অনুসারিরা।এ ছাড়াও কারা কিভাবে এই দুর্জয় চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে সেগুলো নজরদারি চলছে।
অপর দিকে এমন মান হানিকর মামলা নিয়ে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজ ফুঁসে উঠেছে ও একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।এই চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাংবাদিকদের নামে হয়রানী মুলক নাটকীয় মামলা ফেইসবুক ও নাম মাত্র অনলাইনে সাংবাদিকদের নামে গুজব ছড়ানোর ঘটনা নিয়ে মানহানি সহ কয়েকটি মামলার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব।
দ্রুত এই চক্রকে গ্রেপ্তার না করা হলে রাজশাহী রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব শীঘ্রই আন্দোলনের দিকে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রেস ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।