রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী টমটম এখন বিলুপ্তির পথে
আপডেটঃ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৮, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- এক সময় রাজশাহীর মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন ছিল ঘোড়ার গাড়ি।রাজশাহীতে এই ঘোড়ার গাড়িকে বলা হয় ‘টমটম’ গাড়ি।টমটম আর কোচওয়ানদের ঐতিহ্য রাজশাহীর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।আর তাই টমটমের শহর নামেই পরিচিতি পেয়েছিল পদ্মাপাড়ের এই শহর।রাজশাহীর টমটমের ঐতিহ্য আশপাশের জেলাতেও প্রচলন ছিল মানুষের যাতায়াতের অন্যতম বাহন হিসেবে।সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে এবং ঐতিহ্য ধরে রাখতে শহরের গ্রেটার রোডের বহরমপুর মোড়ে টমটম ভাস্কর্য স্থাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)।ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর এই মোড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ঐতিহ্য চত্বর’।আম ও সিল্ক সমৃদ্ধ রাজশাহী নগরীর ঐতিহ্য ঘোড়ায় টানা গাড়ি টমটম আজ বিলুপ্তির পথে।রাজশাহীর মানুষের যাতায়াতের জন্য এককালে প্রধান মাধ্যম ছিল ঘোড়ায় টানা ‘টমটম’ গাড়ি।
কালের আবর্তে রাজশাহীর সেই টমটম এখন নির্বাক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। টমটম হারিয়ে যাওয়ার জলন্ত প্রমাণ ‘টমটম ভাস্কর্য’।দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে রাজশাহীতে প্রায় ৭০০ ঘোড়ার গাড়ি ছিল।এখন সেই সংখ্যা মাত্র চার।দুটো ঘোড়ায় টানা টমটমের সংখ্যা নেমে মাত্র এক।শহরের টি-বাঁধের আশেপাশে মাঝে মধ্যে ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে।
সেখানে ঘুরতে গিয়ে চোখে পড়েঐতিহ্যবাহী টমটম গাড়ির।গাড়ি সাজানো হয়েছে খুব সুন্দরভাবে।টমটমের ঝুমুর ঝুমুর আওয়াজ সাথে ঘোড়ার পায়ের টক টক শব্দ।মনে হচ্ছিল যেন চলে গেছি সেই জমিদার আমলে।ইতিহাস ঘেটে জানা গেছে, একটা সময় শহরের জমিদার ও অভিজাত শ্রেণির মানুষজন ঘোড়ার গাড়িকে প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করতেন।
রাজশাহীর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঘোড়ার গাড়ি।ঐতিহ্য লালন করে এখনও কিছু ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে রাজশাহীতে, তবে তা আর মানুষ কিংবা পণ্য বহনের জন্য ব্যবহার হয় না।সৌখিন কাজে ব্যবহার হয় মাত্র।বিশেষ করে কোনো অনুষ্ঠানের র্যালি কিংবা শোভাযাত্রায় ব্যবহার হয়ে আসছে।এজন্য কোচোয়ানদের (ঘোড়ার গাড়ির চালক) অপেক্ষায় থাকতে হয়।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।