সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবসে দুই শতাধিক দু:স্থদের বিশেষ খাবার খাওয়ালেন আঃলীগ নেতা

আপডেটঃ ১২:১৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৮, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে সমগ্র জাতি বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে।এই দিনটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।তবে এই দিনে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রাজশাহীর মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মহানগর আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আজিজুল আলম বেন্টু।শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে মহান বিজয় দিসব উপলক্ষ্যে অসহায় ও দু:স্থদের পেটপুরে খাওয়ান তিনি।তার নিজস্ব স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা সিনেমা হল মোড়ে লবঙ্গ চাইনিজ ও ফাস্টফুড রেস্তোরার মেহমান খানায় এই খাবার খাওয়ানো হয়।মেহমান খানায় রিকশা-ভ্যান চালক, অটোচালক, দিনমজুরসহ রায় ২ শতাধিক দু:স্থ ও অসহায়রা রাতের খাবার পেটপুরে খায়।খাবারের তালিকায় ছিলো মুরগির মাংস, ডাল ও ভাত।জানা যায়, শুধু বিজয় দিবস বলে নয়, প্রতিটি জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে নিজে আত্মতৃপ্তিবোধ করেন সমাজসেবক আজিজুল আলম বেন্টু।

আর লবঙ্গ রেস্তোরা চালুর পর থেকে প্রতিদিন রাতেই দুঃস্থদের খাবার খাওয়ানো হয়।মেহমান খানায় খেতে আসা শাহজাহান বলেন, ‘এখানে আমি নিয়মিত খেতে আসি।এখানে পেট ভরে, মন ভরে খাওয়ানো হয়-এটা খুবই ভালো লাগে।আমাদের জাতীয় বিজয় দিবসে আজিজুল আলম বেন্টু আমাদের মতো মানুষের কথা ভেবেছেন।এতে আমরা অনেক খুশি।

রিকশা চালক মকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১ বছর ধরে এখানে আমরা খাই প্রতি রাতে।আমাদের যথাযথভাবে খাবার পরিবেশন করা হয়।বর্তমানে উর্ধ্বগতির বাজারে হোটেলে কিনে দু’বেলা সবসময় খেতে পাই না।কিন্তু এখানে এসে আমরা তৃপ্তি করে খাই।এ বিষয়ে আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, বরং মানবসেবার উদ্দেশ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে।

রেস্টুরেন্টের অতিরিক্ত বা বেঁচে যাওয়া খাবার নয়, বরং বিশেষভাবে রান্না করা খাবার দিয়েই দৈনিক এই অসহায়-দুঃস্থদের মেহমানদারি করা হয়।এক একদিন এক একরকম খাবার থাকে তালিকায়।যার মধ্যে থাকে ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতীর সূর্যসন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধারা পাকাহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনে লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে।আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।আজ বিজয়ের যে উল্লাস তা সত্যিই গর্বের।জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙ্গালীজাতি ঝাপিয়ে পড়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলো।

জাতির পিতা শেখ মুজিব যদি স্বাধীনতার ডাক না দিতেন তাহলে আমাদের এমন বিজয় আসতো না।তাই এইদিনে জাতির পিতা শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।এছাড়াও তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে অনন্য উচ্চতায় পরিচয় করিয়েছেন।তার জন্যও দোয়া করি।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।