রাজশাহীতে উৎপাদিত স্বুসাদু মাল্টায় আকৃষ্ট ক্রেতা
আপডেটঃ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
কয়েক সপ্তাহ থেকেই রাজশাহী নগরীর বাজারে উঠেছে দেশি জাতের সবুজ মাল্টা।দেখতে যেমন সুন্দর পুষ্টি গুনেও তার জুড়ি নেই।অন্যদিকে খেতে মিষ্টি হওয়ায় ব্যাপক হারে বেড়েছে ক্রেতাদের চাহিদা।বিদেশি মাল্টার চেয়ে দামে কম হওয়ায় বিক্রিও হচ্ছে অনেক।বিদেশি মাল্টার দাম যেখানে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা সেখানে দেশি জাতের এই মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।বিদেশি ও দেশি মাল্টার কালার শুধু আলাদা।কিন্তু পুষ্টি গুনে দুই মাল্টাই এক।তাই ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে কয়েক বছর থেকেই রাজশাহীতে বারি মাল্টা-১ ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে।শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মণিচত্বর থেকে আওয়ামীলীগ অফিস পর্যন্ত প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভ্যানে করে এই সবুজ মাল্টা বিক্রি করছেন।এর সাথে সাথে প্রতিটি ফলের দোকানে এই ফল বিক্রি হচ্ছে।নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের মাল্টা বিক্রেতা জিয়াউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ভালোই বিক্রি হয়েছে।
প্রতি কেজি মাল্টা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।৫ মণ করে পাইকারি কিনি- দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়।নগরীর মণিচত্বরের আরেক বিক্রেতা মিলন আহমেদ বলেন, এসব হচ্ছে বারী-১ দেশি জাতের মাল্টা।পাইকারিভাবে অনেক কম দামেই পাচ্ছি।বিদেশি মাল্টার চেয়ে কম দাম হওয়ায় বেশি বিক্রি হয়।এগুলো রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চারঘাট ও বাঘা উপজেলাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নিয়ে আসি।
ক্রেতা ফারুক ইসলাম তিনি বলেন, এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে।আর বিদেশি মাল্টার চেয়ে দামে কম তাই মাঝে মাঝেই কিনি।ক্রেতা শামসুল হক বলেন, বাইরের মাল্টাতে ফরমালিন দেওয়া থাকে।তাই দেশি জিনিসের প্রতি আস্থা রাখাই ভালো।পরিবারের জন্য অন্য ফলের সাথে এই মাল্টাও কিনি।
নগরীর লক্ষীপুরে ক্রেতা ফারাহ আফরিন বলেন, প্রথমে এই মাল্টা খেয়ে দেখেছিলাম ভালোই লেগেছিলো তাই আবার কিনতে এসেছি।
অন্য মাল্টার চেয়ে এই মাল্টার দামও অনেক কম।তালাইমারি এলাকার ক্রেতা নাবিলা ইসলাম জানান, অন্য মাল্টা সহজেই পঁচে যায়।এটা দেখতেও ভালো আর পুষ্টিতেও অনেক গুন ভালো।করোনার সময় অন্য ফলের দাম যখন বেশি এই মাল্টার দাম কিন্তু অনেক কম।সবাই সহজেই কিনতে পারে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর থেকেই এই মাল্টা রাজশাহীতে প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে।বাড়ির পাশে, পরিত্যক্ত জায়গা ও আবাদি জমিতে সহজেই এই মাল্টা চাষ করা যায়।
অন্য ফলের চেয়ে চাষ করতে খরচ অনেক কম।একটি গাছে প্রচুর পরিমাণে মাল্টা হওয়ায় দামও ভালো পাওয়া যায়।তাই দিনে দিনে এই মাল্টা রাজশাহীতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন,খনিজের পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও আয়রনের চাহিদা পূরণের অন্যতম উৎস ফল।দেশি জাতের এই মাল্টায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
দামও বিদেশি মাল্টার চেয়ে অনেক কম।তাই বিদেশি ফলের উপর নির্ভনশীল না হয়ে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দেশীয় ফল রাখার পরামর্শ চিকিৎসকের।
IPCS News Report : Dhaka:
আবুল কালাম আজাদ :রাজশাহী।