সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভায় শেখ হাসিনার যত ক্ষোভ ও অভিযোগ

আপডেটঃ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উডসাইডে কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।শেখ হাসিনা বলেন, “আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা পরিচালনা করছেন। সংখ্যালঘু নিপীড়ন এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ওপর হামলার পেছনেও তাদের হাত রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে মুহাম্মদ ইউনূস জঙ্গিদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। হাসিনা আরও বলেন, “বগুড়া ও নরসিংদী জেল থেকে জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যেখানে নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।সাংবাদিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরাও মামলার শিকার হচ্ছেন।মহিলা সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি গণহত্যা চাইনি। যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করতাম, গণহত্যা ঘটতো। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই। গণভবনে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু আমি চাইনি সেখানে প্রাণহানি হোক।”তিনি আরও দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা আড়াইশ মামলার মধ্যে অনেকেরই ভিত্তি নেই।“অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, আমার নির্দেশে মারা গেছে এমন ৩৫ জন ইতোমধ্যেই জীবিত হয়ে ফিরে এসেছে।”

শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আইয়ুব খান আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারেনি।মুহাম্মদ ইউনূসের বাহিনীও পারবে না।আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা এত সহজ নয়।”উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিক্ষোভের কারণে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বক্তব্য রাখেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।

IPCS News : Dhaka :