মেঘালয়ে বাংলাদেশ থেকে ড্রোন প্রবেশ: নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্ত শুরু
আপডেটঃ ১:৫০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
মেঘালয়ের উত্তরের সীমান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক ড্রোন উড়ে আসার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। চেরাপুঞ্জির কাছে কয়েক দিন আগে যে ড্রোনগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো বাংলাদেশের মাটিই থেকে উড়ে এসেছিল বলে নিশ্চিত করেছেন মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের মন্ত্রী, প্রেসটন তিনসিং।
তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তের দায়িত্বে বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে।বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের যে চেষ্টা চলছে, বা সম্প্রতি চেরাপুঞ্জিতে যেসব ড্রোন দেখা গেছে, সেসব বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়ে থাকে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
ড্রোনগুলো আসলে একটি প্রকার চালকবিহীন উড়ান বা আনম্যান্ড এরিয়েল কমব্যাট ভেহিকেল (UACV)। যে ড্রোনগুলো চেরাপুঞ্জি ও সোহরা অঞ্চলে পাওয়া গেছে, সেগুলোর মডেল নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ওই ড্রোনগুলো তুরস্কে তৈরি Bayraktar TB2 মডেলের হতে পারে।বাংলাদেশ ২০২২ সালে Baykar Defense-এর সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে, যাতে তারা সামরিক ব্যবহারযোগ্য এসব ড্রোন কিনে নেয়।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, এমন ধরনের ড্রোন এত উঁচুতে উড়ে যে, খালি চোখে সেগুলো দেখা সম্ভব নয়।মূলত নজরদারি ও পেট্রোলিংয়ের জন্যই এগুলো ব্যবহার হয়।পূর্বে মেঘালয় সীমান্তে মাদক চোরাচালানেও ড্রোনের ব্যবহার দেখা গেছে।
মনিপুরের সাম্প্রতিক সহিংসতার সময়ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা বোমা নিক্ষেপের জন্য ড্রোন ব্যবহার হয়েছে।ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেও মাদক পাচার ও অন্যান্য কুচক্রী কার্যক্রমের জন্য ড্রোনের ব্যবহার নিয়মিত দেখা যায়।
নিরাপত্তার ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে, মেঘালয়ে পাওয়া ড্রোনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকার।তবে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, যে কোনো বিদেশি ড্রোনই ভারতের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করলে তা একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি ওই অঞ্চলে নজরদারির কোনো ফাঁক ছিল? চক্রবর্তী মনে করেন, যদিও বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ভারতের সঙ্গে তুলনীয় নয়, তবে দেশটি বিভিন্ন উস্কানিমূলক কার্যকলাপে জড়াতে চায়।ভারত অবশ্যই এর প্রতিক্রিয়ায় পা দেবে না, তবে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
বিএসএফ জানিয়েছে, এ ধরনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।এটা মূলত বিমান বাহিনীর বিষয়।আবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর মতে, যেহেতু এটি অন্য একটি দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই বিষয়টি একমাত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করতে পারে।
IPCS News : Dhaka :