সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

মুক্তি পেলো সময়ের প্রথম একক গান ‘মনের ক্যানভাস’

আপডেটঃ ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ০১, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা:- প্রথম বারের মতো নিজের লেখা, কন্ঠ ও সুরে মুক্তি পেলো সময় মাহমুদের প্রথম একক গান, ‘মনের ক্যানভাস’।গানটি আজ স্পটিফাই, অ্যামাজন মিউজিক, অ্যাপল মিউজিক, গানা, উইংক সহ বেশ কিছু মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে রিলিজ পাচ্ছে।উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেয়া সময় মাহমুদের গানের হাতেখড়ি ছেলেবেলা থেকে।প্রথমে উচ্চাঙ্গসংগীত এবং পরবর্তীতে আধুনিক ও প্রগ্রেসিভ রক ধারার গান করেন।একই সাথে মৌলিক গান লেখা এবং সুরের কাজ করেন।বেশ কিছু জনপ্রিয় জিঙ্গেলে কথা এবং সুর দিয়েছেন তিনি।ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘আমরাই বাংলাদেশ’ এর সাথে সংযুক্ত থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেন সময়।বিগত ১০ বছরে সময় কোজিটো মার্কেটিং সল্যুশন লিমিটেড, এক্সপ্রেশনস লিমিটেড, স্ট্র্যাটেগিক ডিজিটাল লিমিটেড, পিংক ক্রিয়েটিভ লিমিটেড-সহ দেশের প্রথমসারির বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।

দেশের বেশকিছু জনপ্রিয় টিভিসি, ওভিসি এবং জিঙ্গেল, ও ক্যাম্পেইনের জন্য ব্র্যান্ড ফোরাম থেকে এ যাবত ১৪টি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সময় মাহমুদ এবার সুরকার, গীতিকার, এবং কন্ঠশিল্পী হিসেবে সামনে এলেন।সময় বর্তমানে দেশের শীর্ষ বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান বিটপী অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাইটি বাইটে কর্মরত।

শীঘ্রই মুক্তি পেতে যাওয়া ইউএনএফপিএ এবং বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে কার্টুন “শাহানা”-এর ৩য় সিজনে সময় মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বরত।সময় বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাসায় গানের চর্চা ছিলো।বাবা প্রয়াত লেখক, নাট্যকার, কথা সাহিত্যিক শামসুদ্দোহা মাহমুদ গানের বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন।মা ভীষণ ভালো গান করতেন।

প্রথমে উচ্চাঙ্গসংগীত এবং পরবর্তীতে আধুনিক ও প্রগ্রেসিভ রক ধারার গান করলেও, গানের সুর, গাঁথুনি, ও কথা প্রায়ই আমাকে ভাবাতো।কেনো চারপাশে এখনো শুধুই অতীতের সোনালী দিনের গান নিয়েই কথা হয় ? কেন আজ আমরা এমন কিছু করতে পারছি না যা ভবিষ্যতের জন্য সোনালী অতীত হয়ে থাকবে ? এই ভাবনা থেকেই মনের ক্যানভাস আমার প্রথম মৌলিক গান।

এরপর আরও বেশ কিছু গান লেখা হয়েছে।গানটি শোনার পর হাসিব রেজা ভাই উৎসাহ দেন এটি প্রকাশ করতে।তাঁর প্রেরণা ও প্রচেষ্টায় প্রথম গানটি রিলিজ হলো।আরও কয়েকটি একক গানের কাজ চলছে।আশা করছি ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারবো।সময় মাহমুদ আরো বলেন, বর্তমানে নতুন আরো তিনটি গানের কাজ চলছে।

দশবছর আগে লেখা এবং সুর করা মনের ক্যানভাস’ প্রকাশের আগেই অনেকের কাছে গানটি বেশ পছন্দের ছিলো।গানটি প্রকাশ পাওয়া তাই আমার কাছে বিশেষ কিছু।এ বিষয়ে সবসময় পাশে থাকার জন্য আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই, অরুপ সন্ন্যাল দা’কে যিনি সবসময় আমার মেন্টর হিসেবে ছিলেন।

ধন্যবাদ দিতে চাই আরিফ আর হোসেন ভাইকে, যিনি আমাকে সামনে যাবার সাহস যুগিয়েছে সবসময়।পলাশ নূর ভাইকে, যার সাথে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই সহকর্মী শাফায়েত রেজাকে, যার প্রচেষ্টায় গানটি প্রকাশ পেয়েছে গানটির মাধ্যমে এবারই প্রথম বাংলাদেশে মিউজিক প্রডিউসার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন হাসিব রেজা।

মিউজিক প্রডিউসার হাসিব রেজার জন্ম ঢাকায়, শৈশবে পরিবারের সাথে কুয়েতে চলে আসেন।তিনি কুয়েতেই ছোটবেলায় ক্লাসিকাল প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।কীবোর্ডকে বেছে নিয়ে কুয়েতে বেশ কয়েকটি রক-মেটাল ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।

২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, হাসিব কুয়েতের ন্যাশনাল রেডিও স্টেশনে ইলেকট্রনিক মিউজিক এবং ডিজে মিউজিক ও ড্রাম অ্যান্ড বেইজ তৈরি করা শুরু করেন।তিনি কুয়েতে প্রথম ডিজিটাল রেডিওর ডিজেও ছিলেন।

২০১০ সালে নিজের রেকর্ডিং এবং প্রোডাকশন স্টুডিও কোমা স্টুডিওজ স্থাপন করেন, যেখানে তিনি সিনেমার সাউন্ডট্র্যাক, অডিও বিজ্ঞাপন এবং শিল্পীদের ফিচারের কাজ করেন।২০১১ সালে, তিনি তার রক-ইলেক্ট্রনিকা ব্যান্ড ‘দ্য ওভারসিজ’ প্রজেক্ট গঠন করেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমটিভি, সনি লিভ, ও এয়ারি-তে প্রদর্শিত হয়।

তাদের প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘উমিদ’ সনি লিভ-এ প্রচারিত হয় এবং ‘তালাশ’ গানটি সনির জনপ্রিয় টিভি শোগুলির মধ্যে অন-এয়ার হয়েছিল। ব্যান্ডটি বর্তমানে তাদের পরবর্তী অ্যালবামের কাজ করছে যা এই বছর ভারতে মুক্তি পাবে।হাসিব রেজার এ প্রসঙ্গে বলেন- “শেষ পর্যন্ত বাংলা গানে অবদান রাখার সুযোগ।

প্রথমবার আমি মনের ক্যানভাস শোনার সাথে সাথেই, সময়ের কণ্ঠ, সুর, এবং তার লেখার দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম এবং এই গানটিকে একটি মাস্টারপিসে পরিণত করতে চেয়েছিলাম।এবং সবসময় অনুভব করেছি যে এই গানটি সবার শোনা দরকার, কারণ শব্দগুলি অবশ্যই প্রত্যেকের কাছে অনুরণিত হবে।

সময়ের-এর সাথে কাজ করাটা দারুণ ছিল, যিনি অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিভাবান এবং আমরা ইতিমধ্যেই পরবর্তী রিলিজে কাজ করছি।গানটির সঙ্গীতায়োজনের সাথে স¤পৃক্ত প্রত্যেক যন্ত্রশিল্পীই প্রবাসী।গানটিতে ইলেক্ট্রিক গিটার বাজিয়েছেন Sheldon Boodlea এবং অ্যাকুয়িস্টিক গিটারে ছিলেন শুভম দাসগুপ্ত।

IPCS News : Dhaka : তন্ময় মাহমুদ : ঢাকা।