মিথ্যা মামলা দায়ের করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা : আসামী না ধরার অভিযোগ
আপডেটঃ ৩:২৮ অপরাহ্ণ | মে ০৬, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
স্টাফ রিপোর্টার:- দিনাজপুরে গত ২৫ শে এপ্রিল’ ২৩ তারিখে দুই শিশুর মারামারিতে তুমুল সংঘর্ষ : আহত কয়েকজন হাসপাতালে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অনেক চাপের মুখে মামলা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়, দিনাজপুর কোতয়ালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুয়েল রানা মর্মে এমনটাই অভিযোগ করেছেন বাদীপক্ষরা।দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় বাদী-বিবাদীর উভয় পক্ষের মামলা হয় ০১ লা মে’২৩, মামলা নং-০৭ এবং ০২ মে’২৩ তারিখে, মামলা নং-১০, পরদিন প্রথম এজাহারকারী রুখসানা বেগম এবং তার পরিবার গত ০৩ মে’২৩ তারিখে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজ্ঞ আমলী আদালত (সদর), সকলে জামিন লাভ করে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় রি-কল জমা দেয়।রুখসানা বেগম এবং তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছে করেই আসামীদের ধরছে না।কারণ ৬নং আসামী মোঃ জুলফিকার আলী নীলফামারী থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
তারা পুলিশ বলেই কি তাদের ধরা হবে না।আমরা জামিন পেয়েছি।তারা তো জামিন নেয়নি।তাহলে কেন তাদের ধরছে না।আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে আসামীদের কেন ধরা হচ্ছে না ? তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে তাদের তান্ডবের খবর প্রকাশ পেয়েছে তারপরও আমরা মার খেলাম, আহত হলাম এবং মামলার আসামীও হলাম।
আমরা আহত অবস্থায় মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলাম কিন্তু মোঃ জুলফিকার আলী পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুরে ঢুকে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে স্থানীয় মেডিকেল কলেজ পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের পিটিয়েছে।জুলফিকার পুলিশের লোক বলে আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সেও মামলার আসামী।কিন্তু কেন তাকে পুলিশ ধরছে না।রুখসানা এবং তার পরিবার বলেন, আমরা জেনেছি দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এসআই জুয়েল রানা এবং মোঃ জুলফিকার আলী একে অপরের বন্ধু হওয়ার সুবাদে আসামীদের ধরছে না।সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের স্বার্থে আমাদের মামলায় অন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলে আমরা ন্যায়-বিচার পাবো।
নতুবা আমরা ন্যায় বিচার পাবো না।ন্যায়-বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুয়েল রানাকে প্রত্যাহার চান তারা।রুখাসানা এবং তার পরিবার সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা হাসপাতালে দেখেছেন কিভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা।আপনারাই সংবাদ পরিবেশন করেছেন।এখন জুলফিকার গং মামলা থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন।
আমরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আসার পর তারা অযথা ভর্তি হয়ে নাটক শুরু করে।স্থানীয় পত্রিকা এবং জাতীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত মারামারির ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হয়।কই তাদের তো মিডিয়ার খবর নেই।৬ নং আসামী পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।রুখসানা বেগমসহ তার পরিবার বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
আসামীদের গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়-বিচারের স্বার্থে অনতিবিলম্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একে অপরের বন্ধু হওয়ায় দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুয়েল রানাকে এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করে অন্য তদন্ত কর্মকর্র্তাকে দায়িত্ব দিয়ে ন্যায়-বিচার পেতে রুখসানা বেগম এবং তার পরিবার সরাসরি দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং রংপুর ডিআইজির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।