মাসব্যাপী বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল, ওপারে পচে নস্ট হচ্ছে আমদানি কারকদের কাঁচাপণ্য
আপডেটঃ ১২:১৬ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে অদ্যাবধি, এক মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে আন্তঃদেশীয় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রেলপথে যোগাযোগ।এতে করে বিপাকে পড়েছেন রেলপথে পণ্য আমদানিকারক ও সাধারণ যাত্রীরা।ঢাকা রেলভবন বলছে, আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলছে না।ফলে আন্তঃদেশীয় ট্রেন কবে চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।বাংলাদেশে যে পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়, তার অর্ধেক পণ্য রেলপথ দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে আমদানি হয়।ভারত থেকে রেলপথে বাংলাদেশে আসে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, শিল্পকারখানার কাঁচামাল, সার, সিমেন্ট তৈরির উপকরণ ও কৃষি যন্ত্রাংশ।এ ছাড়া, বাংলাদেশের বেনাপোল ও চিলাহাটী স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে।
এর মধ্যে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস বোনাপোল ও মিতালী এক্সপ্রেস চিলাহাটী রুট ব্যবহার করে।এই তিনটি ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের নিরাপদে ভারত যাওয়া ব্যাহত হচ্ছে।যেসব যাত্রীরা ট্রেনে ভারতে যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।আপাতত নতুন করে আর কোনো আন্তঃদেশীয় ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, বর্তমানে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের ভারতীয় রেক ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে রাখা আছে।এছাড়া আরও যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ওয়াগন বাংলাদেশে এসেছিল, পণ্য খালাস শেষে সেগুলো বাংলাদেশেই আছে।এসব খালি ওয়াগন নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ভারত।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের পণ্যবোঝাই ওয়াগন ভারত সীমান্তে অবস্থান করছে।কিন্তু অনুমতি না থাকায় সেগুলো বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না।ইতি মধ্যে ওয়াগানে থাকা কাঁচাপণ্যগুলো হয়তো পচে গেছে বা পচন ধরেগেছে।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ভারতের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স থেকে এখন পর্যন্ত ট্রেন চালানোর বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কবে নাগাদ যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালু হবে তা বলা যাচ্ছেনা
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।