মানবদেহে সুসজ্জিত কসমেটিকসের দোকান
আপডেটঃ ১০:০৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুরে দেখা মিললো আস্ত দোকান নিজের শরিরে বহন করা এক ফেরিওয়ালার।সারা শরিরে সেফটিপিন দিয়ে আকর্ষণীয় ভাবে আটকানো বিভিন্ন কসমেটিকসের পণ্য প্রায় ৩০ কেজি ওজন পণ্যসামগ্রী বহন করে চলেছেন নিজের শরিরে এই ফেরিওলা।যেমন সেফটিপিন দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, দুল, চুড়ি, লিপস্টিক, মেয়েদের মানিব্যাগ, ছেলেদের মানিব্যাগ, নেইল কাটার, নেইল পলিশ, আয়না, চিরুনি, বিভিন্ন কসমেটিকস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রি।লাগবে নাকি আপা।আসুন কম দামে পছন্দের জিনিস বেছে বেছে নেন।এভাবেই দিনাজপুর শহরের রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, অলিগলি ও এর আশপাশ গ্রামের বিভিন্ন মহল্লায়,ও জনসমূখে গলা ছেড়ে পায়ে হেটে শরিরের মধ্য সেফটিপিন দিয়ে আটকানো বিভিন্ন রকমের দরকারী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ফেরি করে বিক্রি করে জীবন যুদ্ধে বেঁচে আছেন ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত মকিম।
গত সোমবার দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে তাকে দেখতে পেয়ে তার সাথে পরিচিত হন সাংবাদিক আব্দুস সালাম।আসপাশের মানুষ ভীড় জমান তাকে দেখতে কি ভাবে তিনি পণ্য-সামগ্রী নিজের শরিরে বহন করে বিক্রি করেছেন।কেউ কেউ আবার তার কাছ থেকে পন্যও কিনছেন।
মকিম এর আসল বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৩নং ধামইড় ইউনিয়নের বাজনাহার, সড়ক পাড়,গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি, তার পিতার নাম মনসুর রহমান, বড় ভাই সকিম, ২য় ভাই মকিম,৩য় ভাই হাকীম,৪র্থ ভাই সোহেল, প্রায় ২৬ বছর ধরে এভাবেই শরিরে দোকান সাজিয়ে ৪ভাই ব্যবসা করে আসছেন আর এই ৪ভাইয়ের প্রতিদিন গড় আয় প্রায় ২হাজার টাকা।
কিন্তু এই ব্যবসা তো আর সারা বছর একই ভাবে হয় না।বর্ষা মৌসুমে সব সময় গ্রামে যাওয়া হয় না।অসুস্থ্য হলে বের হওয়া যায় না।তবুও তিনি অনেক ভালো আছেন।মানুষের দুয়ারে গিয়ে কারো কাছে হাত পাততে হয়না এবং মন্দ কোন কাজ করতে হচ্ছে না।
শরিরে মধ্য সেফটিপিন দিয়ে আটকানো জিনিসপত্র নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে যেতে হয়।যতদিন বেচে আছি ও সুস্থ্য আছি ততদিন আমি এই ব্যবসাকে ধরে রাখার চেষ্টা করবো।ব্যবসা করে সৎ ভাবে সৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়েই জীবন-যাপন করতে চাই।কর্মকে ছোট করে না দেখে মানুষ ইচ্ছে করলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে পারেন এই ফেরিওয়ালা তারি দৃষ্টান্ত।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।