‘মহিলা’র পরিবর্তে ‘নারী’-মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের নামকরণে পরিবর্তন আসছে
আপডেটঃ ১২:৪০ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ৩০, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা:- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের নামকরণে আনা হচ্ছে পরিবর্তন।‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে যুক্ত করা হচ্ছে ‘নারী’।এই পদক্ষেপ নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ‘মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ নাম পরিবর্তন করে ‘নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়’ করা হবে।পাশাপাশি, মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর’ এবং ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’ নামও পরিবর্তিত হবে।নতুন নাম হবে যথাক্রমে ‘নারী অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় নারী সংস্থা’।
সিনিয়র সচিবের বক্তব্য
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন,“আমরা ‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী’ যুক্ত করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এটি শুধু নাম পরিবর্তন নয়; নারীর ক্ষমতায়নের একটি প্রতীকী উদ্যোগ। দ্রুতই এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন হবে।”
সমাজের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,“নারী শব্দটি এখন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত।মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং আমরা এটি সাধুবাদ জানাই।তবে সংগঠনের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঐতিহ্যের কারণে এখনই তাদের সংগঠনের নাম পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পরিবর্তনের যৌক্তিকতা
‘নারী’ শব্দটি সংবিধান, আইন এবং নীতিমালায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১, এবং সংবিধানের ১৯, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে নারীর সমান অধিকার ও ক্ষমতায়নের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি দ্রুত উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে।অনুমোদন পাওয়ার পর এটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।এই পরিবর্তন নারীর সামাজিক অবস্থান এবং ক্ষমতায়নের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নারীর প্রতি আরও শ্রদ্ধা এবং আধুনিক মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাতে এই উদ্যোগকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।এই পরিবর্তন নারীর উন্নয়নের পথকে আরও সুগম করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
IPCS News : Dhaka :