মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সন্মেলন সভাপতি পদপ্রার্থী আজাদ।
আপডেটঃ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৬, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা:- নেত্রকোনা মদন উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সন্মেলন আগামী ১১ অক্টোবর।সন্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।পিছিয়ে নেই মদন উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ ইফতে খায়রুল আলম খান চৌধুরী আজাদ।তিনিও আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী।সার্বিক বিষয়ে কথা হয় আজাদ সাহেবের সাথে।তিনি বলেন, আমি দলের অনুপ্রবেশ কারী নয় ১৯৮১ সালে নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা কালিন অবস্থায় আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শে হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করি,তখনেই ক্লাসের অধিনায়ক ছিলাম।১৯৮৩ সালে ছাত্র অবস্থায় কিশোরগন্জ জেলা ছাত্র লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই।
১৯৮৪ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘ ৩ মাস কারা ভোগের পর মুক্তি পাই।১৯৮৬ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আবার গ্রেফতার হয়ে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা বরন করি।তখন আমি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ছাত্র লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলাম।১৯৮৭ সালে ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল কলেজের মিনি ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিত্ব করছি।
১৯৯০ সালে এরশাদকে হটিয়ে কিশোরগন্জ জেলা শাখা ছাত্র লীগের সভাপতি নির্বাচিত হই।আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন আজকের গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ এডভোকেট সাহেব।১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কিশোরগন্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।
১৯৯৯ সালে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ছিলাম।২০০৯ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা আসার পর,আমাকে মিথ্যা বোনোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলম ১২ টি মামলার আসামি করা হয়।২০১১ সালে মদন উপজেলা গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
বিগত মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক কাউন্সিলে আমি সভাপতি পদে প্রার্থী হতে ছেয়েছিলাম।দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সভাপতি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি।২০১৭ সালে মদন উপজেলা পরিষদ উপ- নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্ত্যাশী ছিলাম।তখনও আমি মনোনয়ন থেকে বাদ হই।তখনও আমার পার্শ্ববতী মাঘান ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি।
আমার মরহুম পিতা ফয়জুর রহমান খান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও মুক্তিযোদ্ধের একজন বিশিষ্ট সংগঠক ছিলেন।তিনি পাকিস্তান আমলে তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।আমার প্রয়াত চাচা তোফাজ্জল হোসেন খান চৌধুরী (ছদ্দু মিয়া) মোহনগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ছিলেন।আমার আরেক প্রয়াত চাচা মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ডাক্তার আখলাকুর হোসাইন আহমেদ এম এন,এ ছিলেন।মুজিব নগর সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মায়ের আপন মামা হলেন আমার দাদা মরহুম জায়েদ উদ্দিন খান চৌধুরী।আমি মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে আছি।
আগামী ১১ অক্টোবর মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সন্মেলনে সভাপতি পদে পদপ্রার্থী হিসাবে প্রতিদন্দিতা করছি।আমি কোন টেন্ডার বাজি চাঁদা বাজি সহ কোন অপরাধের সঙ্গে কোনদিন জড়াইনি।
নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আজাদ সাহেব বলেন,বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডা যেমন ব্যক্তিত্ব খুজঁছেন, আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য।স্বাভাবিক ভাবে উপজেলার সভাপতি প্রার্থী হতে পারি।
আপনি সভাপতি পদে মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে চাই।
IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোণা।