বেগম জিয়ার টিউলিপ আতঙ্ক, গচ্চা যায় ৩২ কোটি টাকা
আপডেটঃ ৫:১৮ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৩, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেদারল্যান্ডসের টিউলিপ কোম্পানি শেখ রেহেনার মেয়ের নামে নাম হওয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১০ হাজার কম্পিউটার কেনেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্মিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবস্থা করে এবং সস্তায় কেনার জন্য কম্পিউটার ও এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ওপর থেকে শূল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।‘সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছিল যে, বিভিন্ন স্কুলে কম্পিউটার দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিখবে।এ জন্য বিভিন্ন কম্পিউটার সংগ্রহ করা হয়।
এবং পরে ১০ হাজার কম্পিউটার কেনার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।কম্পিউটার কেনার জন্য তখন নেদারল্যান্ডের সরকার একটা প্রস্তাব দিয়েছিল যে, তারা অর্ধেক খরচ দেবে, বাকিটা দেব আমরা।কিন্তু একটা শর্ত হচ্ছে, কম্পিউটার কিনতে হবে নেদারল্যান্ডের কোম্পানি থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, নেদারল্যান্ডের একটি ফুলের নাম টিউলিপ।তাদের কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের নামও টিউলিপ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বোঝানো হয়েছে যে, শেখ রেহেনার মেয়ের নাম টিউলিপ।কাজেই সেই কোম্পানিটিও টিউলিপের নামে। সেজন্য সেখান থেকে কম্পিউটার নেওয়া যাবে না।
তাই তিনি নেদারল্যান্ডস থেকে কম্পিউটার আনার বিষয়টি বাদ দিয়ে দেন।পরে নেদারল্যান্ডের সেই কোম্পানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলা পরিচালনা করতে আইনজীবী নিয়োগ করতে হয় এবং এতে অনেক টাকা খরচ হয়।প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ১০ হাজার কম্পিউটার তো গেলই, উল্টো আরও ৬০ কোটি টাকা দিতে হলে দেশের সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সরকার প্রধান থাকলে দেশের উন্নতি কীভাবে হবে আমার জানা নেই।পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অ্যানালগ টেলিফোনগুলো ডিজিটাল করে দেয়।দেশে তখন একটা মাত্র মোবাইল ফোন কোম্পানি ছিল এবং সেটি ছিল খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের।এক একটা ফোন সেটের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ফোন করলেও প্রতি মিনিটে ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা।’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।ফলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়।দাম ও কমে এবং সারা দেশের টেলি-যোগাযোগকে ডিজিটাল করা হয়। সেই সঙ্গে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের উদ্যোগে নেওয়া হয়।
IPCS News : Dhaka :