বুকে ব্যথা নিয়ে রাজশাহী হাসপাতালে ফাঁসির আসামি ড. মহিউদ্দিন
আপডেটঃ ১২:১৪ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৪, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- বুকে ব্যথা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন।শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তার ফাঁসির রায় কার্যকরের কথা রয়েছে।ড. মহিউদ্দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলের বন্দি ছিলেন।রাজশাহী কেন্দ্রীর কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সকালে বুকে ব্যাথা অনুভব করাসহ হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে মহিউদ্দিনকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, বুকে ব্যথা নিয়ে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।এরপর তাকে হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়।সেখানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর তাকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে নিরাপত্তা হেফজেতে তার চিকিৎসা চলছে।২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস ভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ।৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।
খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন-একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।
ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন-নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।