বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে, প্রধানমন্ত্রীঃ
আপডেটঃ ৪:২২ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।উক্ত অনুস্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বসত-বাড়িহীন ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে।সাথে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ১ দশমিক ১ মিলিয়ন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বোঝা।উষ্ণাতার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর হুমকি স্বরূপ।তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২ শতাংশ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নষ্ট হয়ে যায়।
এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী দশকে তা ৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।শেখ হাসিনা বলেন, নদীভাঙন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাবিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে এবং ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এমসিপিপি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।তার মধ্যে প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে অবশ্যই ব্যাপক ভিত্তিক এনডিসি ( জাতীয় ভাবে নির্ধারিত অবদান ) পেশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রয়াস ছাড়া, শুধু অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব গুলোকে ধীর, বন্ধ এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
অপর একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার অবশ্যই পূরণ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, অভিযোজন ও প্রভাব প্রশমনের ক্ষেত্রে জলবায়ু অর্থায়ন বিতরণে মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিৎ।
প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ প্রস্তাবে উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তির প্রসারের পরামর্শ দেন, যাতে মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
IPCS News : Dhaka :