বিভিন্ন গণ-মাধ্যমে ‘গুম ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ, সাদা কাগজে সই দিতে চাপ, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানি’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদে ডিএমপি’র প্রতিবাদ-লিপি
আপডেটঃ ৫:২১ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৫, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
স্মারক নং-ডিএমপি/এমএন্ডপিআর/১২১ তারিখ-১৪/০১/২০২২ খ্রি.
গতকাল শুক্রবার, ১৪/০১/২০২২ খ্রিঃ) বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘গুম ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ, সাদা কাগজে সই দিতে চাপ, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর দৃষ্টি আর্কষন হয়েছে।গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অতিরঞ্জিত এবং বিকৃত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ‘গুম হওয়া’ সংক্রান্তে দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন এবং উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিকটিম এবং অভিযোগ প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ রাখা, তাদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রথাগত দায়িত্ব।
এই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে পুলিশ মাঝে মধ্যে ভিকটিমের পরিবার কিংবা অভিযোগকারী ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করে থাকে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিকটিমের পরিবার বা অভিযোগকারী ব্যক্তিবর্গ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন।গণমাধ্যমে প্রকাশিত সবুজবাগ থানা এলাকায় মাহবুব হাসান সুজন নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ ১০/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে।
এ সময়ে মাহবুব হাসান সুজন এর ভাই মোঃ শাকিল খান তার ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার স্থান সম্পর্কে ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন যা ইতোপূর্বে রুজুকৃত সবুজবাগ থানার জিডিতে (জিডি নং-৫৩৩, তাং-১১/১২/২০১৩ খ্রিঃ) উল্লেখ নেই।এ ব্যাপারে একটি লিখিতভাবে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের জন্য পুলিশ অনুরোধ করলে তিনি বা তার পিতা তা দিতে অস্বীকার করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে মিডিয়ার কাছে মিথ্যাচার করেছেন এবং বলেছেন, পুলিশ তার বাবার নিকট থেকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন।অপরদিকে একই ঘটনায় মাহবুব হাসান সুজন এর সাথে নিখোঁজ হওয়া কাজী ফরহাদ এর বোন এবং ভগ্নিপতি নিখোঁজ সংক্রান্তে বিস্তারিত তথ্য লিখিতভাবে পুলিশের নিকট উপস্থাপন করেন।
মিডিয়ায় উল্লেখিত অপর ঘটনায় দেখা যায়, পল্লবী এলাকার নিখোঁজ তরিকুল ইসলাম তারা সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করতে পুলিশ তার বাসায় যায় এবং এ সংক্রান্তে কাগজ পত্রের কপি প্রদানের জন্য অনুরোধ করে।পরবর্তীতে তরিকুল ইসলামের স্ত্রী তার শ্বশুরসহ থানায় আসেন।উক্ত সময়ে অফিসার ইনচার্জ থানার বাইরে থাকায় তাকে কিছু সময় থানায় অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু তিনি মিডিয়ার নিকট অভিযোগ করেন পুলিশ তাকে থানায় বসিয়ে রাখে।অথচ অফিসার ইনচার্জ থানায় আসা মাত্র তার সাথে কথা বলেন।এর ধারাবাহিকতায় তারা গত ১৩/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত আছে জানালে পুলিশ তার বাসা থেকে তা সংগ্রহ করে।
ডিএমপি যে কোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা তদন্ত সমাপানান্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।অনুসন্ধান বা তদন্ত চলাকালে অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করা তদন্ত বা অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ।
কিন্তু পুলিশের কার্যক্রমকে হয়রানি হিসেবে উল্লেখ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা এবং এ সম্পর্কে একতরফা বিবৃতি প্রদান করা পুলিশের তদন্ত কাজে অসহযোগিতার নামান্তর।
ভবিষ্যতে এ ধরনের অতিরঞ্জিত, বিকৃত এবং মনগড়া তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো এবং একই সাথে পুলিশের আইনানুগ দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হলো।
IPCS News : Dhaka : উপ-পুলিশ কমিশনার
মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।