সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

বিপাকে আলু চাষীরা, ছুটির দিন তাই নলকূপের পুড়ে যাওয়া মটর ৪ দিনেও মেরামত করেনি বিএমডিএ

আপডেটঃ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ৩১, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ-

রাজশাহী:- রাজশাহীর তানোরে আলু চাষের ভরা মৌসুমেও ছুটির দিনে কৃষিমাঠে থাকা দূরে থাক, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ যানা নিজ কর্ম এলাকায়।এর ফলে, গভীর নলকুপের পুড়ে যাওয়া মটর নিয়ে বিপাকে পড়ছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতার গভীর নরকুপ অপারেটররা।পুড়ে যাওয়া গভীর নলকুপ থেকে আলুর জমিতে সময়মত সেচের পানি না পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তজনা বিরাজ করছে।যে কোন মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশংকা করছেন কৃষকরা।কৃষকদের চাপের মুখে অপারেটররা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তানোর জোনের অফিসে দিনের পর দিন ধর্ণা ধরেও পুড়ে যাওয়া মটর মেরামত করতে না পারায় গভীর নলকুপের কৃষকদের কাছে যেতে পারছেন না অপারেটারেরা।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তানোর জোনের আওতায় দেবিপুর মৌজার, জে-এল নং ৩২২, দাগ ২০৪,গভীর নলকুপের অপারেটর আশরাফুল ইসলাম বলেন, আলুতে পানি সেচের ভরা মৌসুমে সেচ প্রদানের সময় ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মটারটি পুড়ে যায়।

তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই  সংশ্লিষ্ট মেক্যানিক মেহেদী হাসানকে জানানোর পর তিনি গভীর নলকুপে গিয়ে মটার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পুড়ে যাওয়ার সত্যতা পেয়ে মটারটি অফিসে নিয়ে যান।তিনি আরো বলেন, কিছুক্ষন পরই মটারটি খুলে এনে অফিসে জমা দিই।কিন্তু অফিসে কেউ না থাকায় পুড়ে যাওয়া মটরটি এখনো ওই ভাবেই পড়ে আছে।

কর্মকর্কারা বলছেন, রোববার অফিস না খোলা পর্যন্ত মটার মেরামতের  করা যাবে না।পানির জন্য আলু নষ্ট হওয়ার আশংকায় কৃষকরা  আলুর জমিতে সেচের জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছেন।কিন্তু বরেন্দ্রের কর্মকর্তা/কর্মচারী বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত দেশের বাড়িতে অবস্থান করছেন।বিপাকে পড়েছি আমি।

এ বিষয়ে ওই গভীর নলকুপের আওতার আলু চাষী তানোর সদর গ্রামের পিয়ার মন্ডর বলেন, ১০ বিঘা জমির টপ ড্রেসিং করা হয়েছে, এই মুহুর্তেই পানি সেচ দেয়া খুবই জরুরী কিন্তু পুড়ে যাওযা মটর মেরামত না হওয়ায় এবং সময়মত সেচ দিতে না পারলে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

তারমত ওই গভীর নলকুপের আওতায় কৃষকেরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে আলুর টপ ড্রেসিং করা হয়েছে কিন্তু সময়মত পানি সেচ দিতে না পারায় ওই আলু গুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৪ টি গভীর নলকুপের পুড়ে যাওয়া মটার অফিসে পড়ে আছে রোববার অফিস খোলার পরই মেরাতের কাজ শুরু হবে।সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, নিজ নিজ কর্মস্থল এলাকায় সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের থাকার নিয়ম থাকলেও তাদের বেশীর ভাগ কর্মকর্তারা থাকেন না।

এর সাথে তাল মিলিয়ে আলু চাষের ভরা মৌসুমেও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মেকানিকরাও নিজ এলাকায় না থেকে দেশের বাড়িতে গিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন।ফলে কৃষকরা তাদের আলুর জমিতে সময়মত পানি সেচ দিতে টারছেন না।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তানোর বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের মেকানিক মেহেদী হাসান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি রাজশাহীর বাড়িতে আছি, আগামীকাল শনিবার গিয়ে পুড়ে যাওয়া মটারের মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

এবিষয়ে যোগাযোগের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর মুঠো ফোনে একাধীকার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।