বিএনপি নেতার মাধ্যমে আ.লীগের সদস্য টিকেট বিতরণ করায় আ.লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
আপডেটঃ ৬:৩০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৩, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
কিশোরগঞ্জ:- কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামির মিয়া’র মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সদস্য তালিকা তৈরি ও সদস্য টিকেট বিতরণের অভিযোগে রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।গত ২ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামে হযরত দাগো শাহ্ (রহ.) এঁর মাজার প্রাঙ্গণে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লায়েছ মিয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হবি মিয়া, সহ-সভাপতি ক্বারী মো. ইশাদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. আঙ্গুর মিয়া, সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহিদ মিয়া প্রমূখ।এসময় ৭নং ওয়ার্ডের অসংখ্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটিকে সু-সংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন এর নির্দেশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার জন্য রামদী ইউনিয়নে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান।
রামদী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য তালিকা তৈরি ও টিকেট বিতরণ করা হলেও ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য তালিকা তৈরি ও টিকেট বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিয়েছে।
কারণ, ৭ নং ওয়ার্ডের তারাকান্দি গ্রামে রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. লায়েছ মিয়ার বাড়ি।তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
ওই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে গত ইউপি নির্বাচনে রামদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী বর্তমান ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. লায়েছ মিয়া’র বিরুদ্ধে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক জামির মিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়ে ও সরাসরি তার পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করে লায়েছ মিয়া’কে পরাজিত করান মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া।
বর্তমান ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি লায়েছ মিয়া আবারো সভাপতি প্রার্থী হতেপারে জেনে মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া উঠেপড়ে লেগে যান তাকে কি ভাবে পরাজিত করাতে পারেন।আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ৩০০ টিকেট বিতরণ ও ভোটার তালিকা করার কথা।
৩০০ টিকেটের মধ্যে ১০০ নামের তালিকা তৈরি করে টিকেট বিতরণ করবেন ওয়ার্ড সভাপতি মো. লায়েছ মিয়া ও ১০০ নামের তালিকা তৈরি করে টিকেট বিতরণ করবেন ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. হবি মিয়া এবং রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া’র বাড়ি ৭নং ওয়ার্ডে থাকায় বাকী ১০০ নামের তালিকা তৈরি ও টিকেট বিতরণ করার কথা তিনি নিজেই।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ম অনুযায়ী তারা ১০০ করে ২০০ নামের তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির নিকট জমা করে দেন।ইদানীং তারা দেখতে পান ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কোন কিছু অবগত না করেই ও তাদের দেওয়া সদস্য তালিকা অনুযায়ী টিকেট না দিয়ে তাদের অবমূল্যায়ন করে ব্যক্তিগত ক্ষমতা বলে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামির মিয়া’র মাধ্যমে বিএনপি’র অনেককে আওয়ামী লীগের সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করে টিকেট বিতরণ করাচ্ছেন রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন শিশু মিয়া।
আওয়ামী লীগের ভোটার সদস্য তালিকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর নাম বাদ দিয়ে বিএনপি’র লোকজনের নাম অন্তর্ভুক্তি করে তাদের মাঝে টিকেট বিতরণের বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তারা প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।তারা আরো বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, প্রচার সম্পাদক সহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আজও আওয়ামী লীগের সদস্য টিকেট পাননি।
তাদের নাম সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে কিনা তাও তারা জানেননা।বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তাক্ষেপ কামনা করেন।
IPCS News : Dhaka : লোকমান হোসাইন : কিশোরগঞ্জ।