বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো ধানের ভালো ফলনে কৃষকদের হাসির ঝিলিক
আপডেটঃ ১১:১৭ অপরাহ্ণ | মে ২৮, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাসির ঝিলিক।প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০মণ।যা গত বছরের চেয়ে বিঘায় ৭-১০মণ বেশি।রাজশাহীর গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৫, ব্রি-২৮, ব্রি-৮১, ব্রি-৮৯,ব্রি-৯০, ব্রি-৯২, জিরাশাইল, তেজগোল্ড ও বিনা-২৫ হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন ধান চাষ হয়েছে।কৃষকরা জানান, জমিতে বোরো চারা রোপনের পর থেকে সময়মত সেচ,সার দেয়ার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ধানের পরিচর্যা করায় রোগ বালাই ছিল না।ফলে ধানের ভালো ফলন হয়েছে।গোদাগাড়ী পৌর মহিশালবাড়ীর কৃষক আলালউদ্দীন পচিশ বছর ধরে ধানের চাষ করে আসছে।এবার দুই বিঘা জমিতে ৬০মণ ধানের ফলন হয়েছে।গত বছর দুই বিঘা জমিতে ৩৮মণ ফলন হয়।
এবার গত বছরের চেয়ে ৩২ মণ ধান বেশি পেয়ে এই কৃষক খুবই খুশি।উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ১০ বিঘাতে বোরো ধানের চাষ করে।এর মধ্যে তিন বিঘা জমিতে বিনা-২৫ জাতের ধান চাষ করে।এই নতুন জাতের ধানের বিঘায় উৎপাদন হয় ২৫ মণ।
রপ্তানিযোগ্য বিনা ২৫ ধানের চাউল ভারত ও পাকিস্থানের বাসমতি চালের মত।
উপজেলার দেওপাাড়া ইউনিয়নের ধামিলা গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ৯০ চাষ করে।প্রতি বিঘায় ৮হাজার টাকা খরচ হলেও ২২ মণ ফলন হয়েছে।পোলার ধান হওয়ায় বাজারে দাম বেশি।ইশ্বরীপুর বক্লের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার বলেন, সময়মত চারা রোপন ও কাটা মাড়াই করার কারণে ধানের শতভাগ ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেন, পুরাতন জাতের পাশাপাশি নতুন জাতের ধান চাষ করেছে কৃষকরা।কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা সেচ ও সার দেয়া ছাড়াও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের কারিগরি সহযোগিতায় বোরো ধানের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে কৃষকরা।বিনা-২৫সহ নতুন জাতের ধান চাষে সাফল্য পাওয়ায় আগামীতে বেশি জমিতে ধান চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছো কৃষকরা।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।