প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে রাজশাহীর রাজনীতিতে চলছে জঘন্যতম খেলা
আপডেটঃ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৫, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:-কে কাকে দমিয়ে রাজনীতির শীর্ষ স্থানে যাবে এ নিয়ে রাজশাহীর রাজনীতিতে চলছে জঘন্যতম খেলা।ব্যক্তিগত শৈশব জীবনের টুকিটাকি ভুল, ব্যক্তি চরিত্রের চুলচেরা ত্রুটি, অর্থ আয়ের সাজানো উৎস, নারীর সম্পর্ক নিয়ে রুপক কাহিনীসহ নানা জঘন্য মনগড়া কাহিনী মিডিয়ায় প্রকাশ করে চলেছ রাজনৈতিক সমকক্ষকে সমাজে হেয় করার দমননীতি।এমন জঘন্য রাজনৈতিক খেলায় উদ্বিগ্ন রাজশাহীর সাধারণ মানুষ।সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরের একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ এর নারীঘটিত একটি ভিডিও প্রকাশ হয় মিডিয়াই।এটি প্রকাশ কেন হলো, কে করল, কার নেপথ্য ইঙ্গিতে করা হলো, কি কারণে করা হলো, এতে কার লাভ, এ প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে।প্রকাশিত ভিডিওটি অনেক আগের,সেটি সে সময় প্রকাশ না করে এখন কেন করা হলো ? ভিডিওটি এডিট করা বা সত্য সেটা বড় কথা নয়।
আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।তবে কি কোন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা তাকে সমকক্ষ ভেবে এ জঘন্য কাজটি করিয়েছে এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষের মনে।কয়েক মাস আগে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতির আয়ের উৎস নিয়ে তাকে ভূমিদস্য আখ্যায়িত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গনমাধ্যমে।
রাজশাহীর এমপি অয়েন উদ্দীনের ব্যক্তি চরিত্র নিয়েও সংবাদ প্রকাশিত হয় মিডিয়ায়।সেখানেও তাকে নারি সংঘটিত রুপক কাহিনীর নায়কের চরিত্রে ভূষিত করাহয়।রাজশাহীর এমপি ফারুক চৌধুরীরকে নিয়ে প্রচার হয়ে নানা মুখরোচক কাহিনী।প্রতিটি আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতাদের ব্যাপ্তি চরিত্র নিয়ে লেখা হচ্ছে কয়েকটি নিদৃস্ট পত্রিকায়।
প্রশ্ন হচ্ছে প্রকাশিত এই মিডিয়াগুলি কোন দলের সমর্থক তারা কোন রাজনৈতিক দলের আদর্শে আদর্শিত।তবে কি কৌশলগত ভাবে প্রতিপক্ষকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নিদৃস্ট কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন নিজ সার্থক হাসিলের জন্য।
অদ্যবধি যেসব নেতাদের চরিত্র হরণ নিয়ে মিডিয়াই লেখা হয়েছে তারা সকলেই তৃণমূল থেকে উঠেআসা পরীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রণীত সৈনিক।সামনে নির্বাচন বিএনপি জামাতের সাথে মদত দিয়ে তাদের দমিয়ে রেখে বিএনপিকে রাজশাহীতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে সাহায্য করছে।তারা হাইব্রিড কোন নেতা নায় বলা দলে অনুপ্রবেশ কারিওনা।
তারা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছে।স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লঘি বৈঠা আন্দোলন ও ১/১১ তে অনেক লড়াই সংগ্রাম পার করে, অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারা দলীয় সিদ্ধান্তে কেউ মহানগর যুবলীগের, কেউ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, কেউ জলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব স্থানে এসেছেন।
সামন্য ব্যাক্তি স্বার্থে এমন হীন কাজটি করতে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যেই ইন্ধন দিচ্ছেন তাকে তার ফলে ভোগ করতে হবে।গোপন ষড়যন্ত্রকারীকে মানুষ দূরে থাক আল্লাহ তাআলা তাদের ভালোবাসেনা।ব্যক্তির চেয়ে দল বড়,দলের চেয়ে দেশ বড়।এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে দেশ গড়ায় সবাই ব্রত হন।
বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত রাজশাহীকে বহু কষ্টে, সম্বলিত চেষ্টায় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন সকলেই ব্যক্তিগত কোন্দলে ঠুনকো স্বার্থের সুযোগ নিয়ে, মাথা তুলে দাঁড়াবার সুযোগের অপেক্ষায় স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রুরা।
আর সেটা যদি সত্য হয় তবে রাজশাহীতে আওয়ামীলীগের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? এ প্রশ্ন আওয়ামীলীগের তৃনমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষের মনে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।