পূর্বধলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ায় থানায় মামলা
আপডেটঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ | জুন ২৭, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোণা:- প্রেমের ফাঁদ পেতে ইজ্জত লুণ্ঠনের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আসামী করে রবিবার বিকালে এই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে প্রকাশ, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হত-দরিদ্র দিনমজুরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তারই প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী দুলাল মিয়ার পুত্র ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক সুজল মিয়ার।উক্ত ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে সুজল তাকে প্রায়শই প্রেম নিবেদন করতো।এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্প্রতি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুর্গাপুরের কদমতলী এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে সুজল মিয়া তার মোবাইলে জোরপূর্বক উক্ত ছাত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাক মেইলিং করতে শুরু করে।সুজল তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে পূনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে উক্ত ছাত্রী তার সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজল দুই দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ছাত্রীর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর থেকেই হত দরিদ্র দিনমজুরের পরিবারটি লোক লজ্জার ভয়ে বাড়ীঘর থেকে বের হতে পারছে না।এ ব্যাপারে ভিকটিমে বড় বোন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা চার বোনের মধ্যে তিন বোনের আর্থিক সহায়তায় আদরের ছোট বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম।এ ঘটনায় আমাদের মান সম্মান আর কিছুই থাকলো না।
ভিকটিমের বৃদ্ধ বাবা ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবী জানান।ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজুয়ানুর রহমান রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেছে।আমি ওসি সাইফুল ইসলামকে যত দ্রুত সম্ভব আসামীদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি।
IPCS News : Dhaka : গোলাম কিবরিয়া সোহেল : নেত্রকোণা।