সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ রাজশাহীতে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনার ৩ দিন পেরোলে ও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

আপডেটঃ ১:৪৭ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৭, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর ছোট বটতলা এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালানো হলেও ঘটনার তিনদিন পার হলেও  অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্র ধারিক বা ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারনি পুলিশ।এই ঘটনার পরে থেকে নগরবাসি শঙ্কিতের পাশাপাশি পুলিশের নিরব ভূমিকায় বিস্মিত।এবিষয়ে ২৫ নভেম্বর রাতে ১৮ জন নমিয়  সহ ১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।ওয়ার্ড কমিশনারের পিতা আরিফ বলেন, তার ছেলে মনিরুজ্জামান এ-ই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হয়ে কমিশনার নির্বাচিত হন।তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ওয়ার্ড টিকে মাদক মুক্ত করতে পদক্ষেপ নেন।তিনি তার ওয়ার্ডের মাদক ব্যাবসা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলে তাদের রোষানলে পড়ে।এরই জের ধরে ২৩ নভেম্বর তার কমিশনার ছেলের উপর সশস্ত্র হামলা ও মেরে ফেলার জন্য গুলি চালান।

কমিশনার মনির বলেন,ওয়ার্ড বাসি আমাকে ভালো বাসেন, যত বাধাই আসুক এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্তসহ সকল অসামাজিক কাজ নির্মূল করবো।মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমাকে লক্ষকরে গুলি করে।আমি বেঁচে গেছি।গুলিবিদ্ধসহ আমার তিন জন লোক আহত হয়েছে।আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি তাই আইনি প্রক্রিয়ায়  আগাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন,আমি নির্বাচিত কমিশনার এতবড় ঘটনা ঘটলো,তবুও ঘটনার তিনদিন পার হলেও চিণ্হিত অস্ত্রধারিকে গ্রেপ্তার করতে পারলোনা পুলিশ।তবে সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে কি হবে?উল্লেখ্য ২৩ নভেম্বর  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত তিনজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একরামুল হক গুড্ডুকে (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তার ডান পায়ে গুলি লাগে।চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পুঙ্গ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়।ফলে সেইবরাতেই একটি এ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।গুলিবিদ্ধ একরামুল হক গুড্ডুর বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকায়।তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম।

তিনি স্থানীয় যুবলীগ কর্মী।নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুনিরুজ্জামান মনি ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক (বহিস্কৃত) শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।এলাকার আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির সাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম তরিকের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল উদ্দিন বলেন, একরামুল হক গুড্ডুর ডান পায়ের হাটুর উপরে গুলি লাগে।এর ক্ষত বড় ও মারাত্মক হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।হাসপাতালে নেয়ার পর সাথে সাথে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।কিন্তু রক্ষ বন্ধ না হওয়ায় তাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত।সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।কাউন্সিলর মরিরুজ্জামান মনি বলেন, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তাকে লক্ষ করে তরিক কয়েক রাউন্ড গুলি করে।কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুড্ডুর ডান পায়ে লাগে।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।