সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পরিক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগে তালা

আপডেটঃ ১:০১ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ৩১, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের শ্রেনীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন ৩০ অক্টোবর।বুধবার সকাল ১০টায় বিভাগের শ্রেনী কক্ষে, সভাপতির কক্ষে ও অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে সব ব্যাচের ক্লাস ববর্জন করেন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-পরীক্ষা কমিটির সভাপতির গড়িমসি ও উদাসীনতার কারণে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯ মাস অতিক্রম হলেও এই বিভাগের ফলাফল প্রকাশ হয়নি।ফলে বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।মাস্টার্স পরীক্ষা ৯ মাস আগে শেষ হলেও তাদের পরিচয় শুধু স্নাতক পাশ।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে  বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের বিধান রয়েছে।কিন্তু ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের স্নাতোকোত্তর পরীক্ষা শুরু হয়।লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি।

সর্বশেষ ভাইভা শেষ হয় ২৯ জানুয়ারি।এই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ।তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯ মাস অতিক্রম হলেও কিছু জটিলতার কারনে ফল প্রকাশ হয়নি।কর্মসূচির বিষয়ে বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের ফলাফলের জন্য এর আগে একাধিকবার সভাপতি স্যারসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি।

তারা আমাদের প্রত্যেকবার আশ্বাস দিয়েছেন মাত্র।স্যারদের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ফল প্রকাশের জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।কিন্তু আমরা জানতে পারি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ।যাকে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।আমরা জানতে পেরেছি তিনি (মুসতাক) ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভাগকে সহযোগিতা করছেন না।

৯ মাস হয়ে গেলেও আমাদের ফলাফল প্রকাশ হয়নি।রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।শিক্ষার্থী আয়েশা মালিহা মাহফুজ বলেন, আমাদের পরীক্ষা গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরে শুরু হয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়।

নয় মাস ধরে আমাদের ফলাফল আটকে আছে।ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিভিন্ন চাকরি ও বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ফলাফলের কারণে আমরা কোথাও আবেদনও করতে পারছি না।আমাদের পোস্ট গ্রাজুয়েশন ৯ মাস আগে শেষ হলেও আমাদের পরিচয় আমরা শুধু স্নাতক পাশ।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ যিনি ঐ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন।তার কাছে কিছু নম্বর ছিল।বেশ কয়েক দফায় নম্বর চাওয়ার পর সর্বশেষ গতকাল কিছু নম্বর সরবরাহ করেছেন।তারপরও তার কাছে এখনো কিছু নম্বর রয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে রেজাল্ট প্রকাশের জন্য করণীয় সম্পর্কে জানতে আজকে আমরা ভিসি সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম।এরই মধ্যে আজ শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়েছে।এখন প্রশাসন ভবনে আমরা আছি।এটার সমাধান নিয়ে আমরা আলোচনা করব।অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ বলেন, আমার কাছে কোনো নম্বরপত্র নেই।যা ছিল সব সরবরাহ করেছি।

ফলাফল প্রকাশ করতে না পারা বর্তমান সভাপতির ব্যর্থতা।তিনি (বর্তমান সভাপতি) তার ব্যর্থতা ঢাকতে তালবাহানা করছেন।এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিভাগের সেশনজট নিরসনে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়ে সভাপতি ও অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।